শনিবার সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “প্রধান দুটি দলের মধ্যে সংলাপের বদলে সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা দেখে আমি হতাশ। ”
তিনি বলেন, সংলাপের ফলেই ‘সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে’, যা বাংলাদেশের বহু সাধারণ মানুষের চাওয়া।
নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমঝোতা না হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে এলেও সংবিধান অনুযায়ী তার কোনো সুযোগ নেই বলে নাকচ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতাকে টেলিফোন করে দুদিন পর গণভবনে সংলাপের আমন্ত্রণ জানান।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া তার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে তখন চলমান ১৮ দলের তিন দিনের হরতাল শেষে সংলাপের কথা বলেন।
কিন্তু পরবর্তীতে সংলাপ নিয়ে দুদলের মধ্যে টানাটানি চলতে থাকে। আর নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১৮ দলীয় জোট হরতালের মতো কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।
গত ১৫ দিনের মধ্যে তিন দিন করে দুবার বিরোধী জোটের হরতালে বোমা বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে অন্তত ১৫ জন নিহত হন।
এর মধ্যেই রোববার থেকে আবারো ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাকে ১৮ দল।
শুক্রবার বিকালে হরতালের ঘোষণা দেয়ার পর রাতে গ্রেপ্তার হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ ও এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।