প্রথম বারের মত মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। বিশ্বব্যাপী আগ্রহীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। আমি আবেদন করেছি। আর সে আবেদন গৃহীতও হয়েছে। এত সহজে হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি।
এযে কি আনন্দ! প্রথম মানুষ হিসাবে মঙ্গল গ্রহে বাংলাদেশের মত অখ্যাত এক দেশের সেলিম! জামাল হোসেন (সেলিম)! ভাবা যায়? ওহ্! খুশিতে তো পাগল হয়ে যাবো!
আমরা চার জনের একটা দল প্রথম যাবো। ২০২৩ সালে। মার্স ওয়ানের মাধ্যমে। দু'বছর পর আরো চার জন। এভাবে প্রতি দু'বছরে চার জন করে আস্তে আস্তে ওখানে পপুলেশন বাড়ানো হবে।
আমরা স্থায়ী ভাবে মঙ্গলে মনুষ্য বসতির জন্য কাজ করে যাবো।
একদিন মঙ্গল হবে মানব জাতির দ্বিতীয় আবাস স্থল। দ্বিতীয় পৃথিবী।
আর এর সূচনা আমাকে দিয়ে।
লোকে বলে যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন অমুকের নাম থাকবে।
এখন পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন তো বটেই, পৃথিবী ধ্বংশ হয়ে গেলেও আমার নাম থাকবে।
ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবো আমি! কি আনন্দ! কি আনন্দ!!
কিন্তু সে আনন্দ বেশিক্ষন টিকলো না। মাত্র প্ল্যান পরিকল্পনা করছিলাম ওখানে গিয়ে কী কী করবো? কেমন ধরনের সঙ্গী হবে আমার এখনো জানি না। .......। এর মাঝেই মোবাইলের এ্যালার্ম।
ঘুম ভেঙ্গে গেল। কেমন বিরক্ত!
ইস্! এই রোববারের বন্ধেও কেন যে ডিউটি করতে হয়? ধ্যেৎ!!
মনে হচ্ছিল আবার ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নটা আবরো দেখি। ওতো আর সম্ভব নয়। কম্পিউটার নিয়ে বসে গেলাম।
আর কিছু পারি আর না পারি আপনাদের সাথে শেয়ার তো করতে পারি?
সাড়াদিন ডিউটি করেছি আর ভেবেছি বিষয়টা নিয়ে। আচ্ছা! বাস্তবে এমনটা হলে আমাদের কার প্ল্যান কী হতো?
ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট।
তথ্যসূত্রঃ মার্স ওয়ান।
এই লিংকটিতে ক্লিক করে ভিডিওটা দেখে নিতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।