যখনই তোমাকে মিস করি আকাশ থেকে খসে পরে একটি করে তারা ♥ এমন কোন জ্যোৎস্না রাতে যদি আকাশে তাকিয়ে দেখ একলা চাঁদ বসে কাদছে, কোন তারা নেই তারসঙ্গে... তবে মনে রেখ দোষ তোমারই... আমাকে একা করে দিয়ে তোমাকে এত মিস করার সুযোগ দিয়েছ, আর এখন চাঁদ টিকে একা করে দিলে
লিওনেল আন্দ্রেস ‘‘লিও’’ মেসি
(উচ্চারিত: [ljoˈnel anˈdɾes ˈmesi], জন্ম: ২৪ জুন ১৯৮৭) একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার, যিনি লা লিগার দল বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলেন।
মেসি বর্তমানে আজেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি বালোঁ দ’অর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের জন্য মনোনীত হন। এর পরের বছরেই তিনি প্রথমবারের মত বালোঁ দ’অর[২] এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন। ২০১০ সাল থেকে বালোঁ দ’অর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দুটিকে এক করে নাম দেওয়া হয় ফিফা বালোঁ দ’অর।
উদ্বোধনী বছরেই এই পুরস্কার জিতেন তিনি। [৩] এরপর ২০১১[৪] এবং ২০১২[৫] সালের পুরস্কারও জিতেন তিনি। মেসি ২০১১–১২ মৌসুমে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন। মেসি বর্তমানে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতা। [৬]
অনেক ভাষ্যকার, কোচ এবং খেলোয়াড় তাকে বর্তমান সময়ের সেরা এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে দাবী করেন।
[৭][৮][৯][১০][১১] ফুটবলের ইতিহাসে টানা চারবার ফিফা বালোঁ দ’অর জয়ী একমাত্র ফুটবলার মেসি। বার্সেলোনার হয়ে মেসি পাঁচটি লা লিগা, দুইটি কোপা দেল রে, পাঁচটি স্পেনীয় সুপার কাপ, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুইটি ইউরোপীয়ান সুপার কাপ এবং দুইটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২০১২ সালের মার্চে, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলায় বেয়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে পাঁচ গোল করে ইতিহাস গড়েন মেসি। খেলায় বার্সেলোনা ৭–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। [১২] তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগের এক মৌসুমে হোসে আলতাফিনির করা ১৪ গোলের রেকর্ডও স্পর্শ করেন।
[১৩] মেসিই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা চার মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার কৃতিত্ব গড়েছেন। [১৪][১৫] ২০১১–১২ মৌসুমে ইউরোপীয় ফুটবলের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭৩ গোলের রেকর্ড গড়েন মেসি। [১৬] ঐ মৌসুমে লা লিগায়ও ৫০ গোল করে এক মৌসুমে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। [১৭] ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, মেসি বার্সেলোনার হয়ে তার ৩০০তম গোল করেন। [১৮] ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ, লা লিগায় টানা ১৯ খেলায় গোল করার কৃতিত্ব গড়েন মেসি এবং ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে লীগের সবকয়টি দলের বিপক্ষে টানা গোল করার কৃতিত্ব গড়েন তিনি।
[১৯]
২০০৫ ফিফা বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশীপে সর্বোচ্চ ছয় গোল করেন মেসি। ২০০৬ সালে, আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করেন তিনি। ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকাতেও তিনি অংশগ্রহন করেন, যেখানে আর্জেন্টিনা রানার-আপ হয় এবং তিনি প্রতিযোগিতার কনিষ্ঠ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। [২০] ২০০৮ সালে, বেইজিং অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা অলিম্পিক ফুটবল দলের হয়ে মেসি স্বর্ণপদক জিতেন। এটিই ছিল তার প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মাননা।
তার খেলার ধরন এবং দৈহিক উচ্চতার কারনে তাকে তারই স্বদেশী দিয়েগো মারাদোনার সাথে তুলনা করা হয়, যিনি নিজেই মেসিকে তার ‘‘উত্তরসূরি’’ হিসেবে ঘোষনা করেছেন। [২১] ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, গ্রানাদার বিপক্ষে মেসি বার্সেলোনার হয়ে তার ৩০০তম গোল করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।