সিমপ্লেসট ইন টেস্ট বাট স্যাটিসফাইড অনলি উইথ দা বেস্ট ব্লু ম্যাকাও পাখি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল কলকাতার আলিপুর চিরিয়াখানায় যাওয়ার পর। বয়স ছিল নিতান্তই কম। ব্লু ম্যাকাও এর চাইতে কলকাতা শহরের মানুষজন ও তাদের আচার আচরন ই চমকপ্রদ লাগছিল।
যাই হোক, ওই পাখি দেখতে কেমন তাও ভুলে গিয়েছিলাম। ভাগ্য আবার দেখাল ব্লু ম্যাকাও।
এবার নিজের দেশেই। সপ্তাহ কয়েক আগে প্রেস ক্লাবের বিদেশি পাখি প্রদর্শনীতে যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই প্রদর্শনীতে দেকজলাম ম্যাকাও। খাচায় নয় কাঁধে । গোটা কয়েক ম্যাকাও পাখি আনা হয়েছে প্রদর্শনীতে ।
পাখিগুলি বিশাল মঞ্চের ওপর স্টিলের তৈরি দাঁড়ে বসা। কেউ কেউ মালিকের কাঁধে বসে পোয দিতে ব্যাস্ত। পাখির দামও জানা হল তখন। অঙ্কটা বোধ হয় ১০ লাখের ওপরে ।
তার কিছুদিন পরই পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম একটি বাংলাদেশী অধিবাসী ম্যাকাও দম্পতির কথা।
দুই মালিকের গণ্ডগোলে পাখির সংসার ভাঙ্গনের সম্মুখিন। জানা ছিল না এদের গড় আয়ু ও প্রায় মানুষের সমান, এবং সবচাইতে চমকপ্রদ তথ্য হল, এরা একবার জুটি বাধলে আজীবন তা অটুট রাখে। প্রিন্স এর দুক্ষে তার প্রিন্সেস খাদ্য গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে।
শুনানি চলছে। রায় ও হবে শিগগিরই ।
কাহিনির যে ঘনঘটা শুনেছি কোন যুক্তিযুক্ত সমাধান আমার কাছেও নেই। শুধু একটি ব্যাপার ভাবায় ঃ মানুষ এক জীবনে ৩০/৪০ বছরের সংসারও হেলায় ভেঙ্গে দেয়। একজোড়া পাখি সেই যুগে কি খেল ই না দেখাল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।