আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উহাদের প্রেম এবং বাস্তুসংস্থানের অস্তিত্ব।

এই ব্লগে প্রকাশিত সবকিছু লেখকের ব্যাক্তিগত মতামতের বহিঃপ্রকাশ।

আমার এক ব্যাংকার বন্ধু আজ ৯ বছর ধরে এক মেয়ের সাথে প্রেম করছে। এতদিন জেনে এসেছি মাইয়্যাটা নাকি বাঁশের কঞ্চির মতন বেপোরোয়া এই বশে আসে এই নাকি আবার খাচা ভাঙে। যাইহোক পাত্তা দেইনি না ঠিক কখনো আসলে আমি নিজেই কখনো জানতে চাইনি কি রকম চলছে বন্ধুর প্রেম। ওর সাথে আমার দেখা সাক্ষাত ব্যস্ততাযুক্ত অনেক কম।

অনেকদিন পর পর হটাত কোত্থেকে এসে আবার যেন কই চলে যায়। গতকাল সন্ধ্যায়ও ঠিক হুট করে দেখা, প্রায় ৭-৮মাস পর। মিরপুর ষ্টেডিয়ামের সামনে আড়াই তিন ঘণ্টার আড্ডায় অনেক বিষয়ে কথা হচ্ছিল। মেয়েটার কথা আমি ভুলেই গেছিলাম। একটা কথার ফাঁকে ওর গার্লফ্রেন্ডের কথা ওই তুলল।

যদিও আগেই জেনেছি দোস্ত বিয়া করে নাই পরে বুঝলাম মেয়েটারও এখনো কোন গতি হয়নি। অনেকক্ষণ পর বুঝলাম তাদের সম্পর্ক কোন পরিনতি না পেলেও দোস্ত আমার একটা extreme ঝাঁকুনি খাইছে। মেয়ে নাকি ওর কাছ থেকে এটা ওটা কেনার ছুতোয় টাকা চাইতো, বন্ধু অন্ধের মত মেয়েকে চাইতো ফলাফল প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট amount মেয়েকে দিতে হত। cause গুলো বিশ্বাস না হয়ে উপায় নেই। দু একটা আমিও শুনেছি।

যাইহোক বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে গার্লফ্রেন্ড আবার গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকে বয়ফ্রেন্ডের টাকা খসানো এখন সচরাচর মানলাম কিন্তু প্যাঁচ লেগে গেলো অন্যখানে। মেয়ে এই টাকাগুলো নিয়ে অন্যছেলেদের সাথে ফুর্তি করতঃ তাদের পিছনে খরচ করতো এমনকি মেয়ের নাকি আর দু-তিনখান বয়ফ্রেন্ড আছে যারা বিভিন্ন সময় মেয়ের কাছ থেকে টাকা খসাত। আর এই খসানো টাকাগুলো সব আমার বন্ধুর পকেটের। মেয়ের এতকিছু ধরা খাওয়ার পরও মেয়ে নিজ থেকে ফোন দেয় এবং নিজে নিজে পলটি নেয়, দূরব্যবহার করে। আবার এখনো নাকি মাঝে মাঝে টাকা চায় যদিও এখন আর টাকা দেয়ার প্রশ্ন আসেনা।

:/ উঠে আসার সময় বলছিলাম, দোস্ত আমি কিন্তু এখানে একটা বাস্তুসংস্থান দেখছি, কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই এটাই এখন স্বাভাবিক। সিস্টেমটা বাস্তুসংস্থানবলে টিকে আছে। -: আরে ধুর হালারপুত রাখ তোর বা*সংস্থান। মা*টা আমারে পুরা ঠা*য়া দিছে আর তুই আছস তোর... ------------------------------------------ # শালা খোদার-খাসী পুরাই দেড় ব্যাটারি। # per month মেয়েটা আলবাল বলে ৮-১০০০০ টাকা করে নিত এবং যা নিয়েছে এক বছর ধরে।

যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। জিনিয়াস বটে মেয়েটা। # মেয়েটা একসাথে ৪টা relation maintain করত। কাউকেই খুব বেশি কাছে ঘেঁষতে দিত না কিন্তু সবাইকে use করত। যদিও কপালের ফেরে আমার বন্ধুই মার খাইছে বেশি।

# মেয়েটা Hall এ থাকে সেই সুবাদে প্রায়ই মাসের মাঝামাঝিতে তার এই টাকার দরকার হত। কখনো টাকা দিতে দু একদিন দেরি হলে, আমার টাকা লাগবেনা আমি এমনি এমনি চাইছি দেখলাম কি বল, আরে নাহ আমার কাছে টাকা আছে পরে লাগলে বলবো আমি মনে কিছু নিইনি ইত্যাদি বুলি আওড়াতো। # এখনো মাঝেমাঝে ফোন দেয়, বলে কয়দিন পর হয়তো আমার বিয়ে হয়ে যাবে, বিয়ের পর তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে পারবোনা ভেবে খুব খারাপ লাগছে আসলে তুমি অনেক special কেউ একজন যে আমাকে অনেক ভালোবাসে। তুমি আমার জন্য কষ্ট পেয়ো না মন খারাপ করোনা ইত্যাদি। অদ্ভুত! :'( ## জানিনা এই ঘটনা share করাটা উচিত কি অনুচিত।

দোস্ত আমি দুঃখিত, আমি সমব্যথী। প্রথম প্রকাশ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.