বিক্ষিপ্ত ভাবনা
ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়াই যখন সব সমস্যার মূল, আসুন তাহলে জেনে নিই কি করে করা যায় এর স্হায়ী সমাধান। সমাধান জানতে হলে সমস্যার মূলের একটু বিশ্লেষন প্রয়োজন।
সরকারের প্রতি আস্হাহীনতাই রাজনৈতিক সমস্যার মূল। বাংলাদেশের ৫১% মানুষ যদি বর্তমান সরকারকে সমর্থন করত তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা যে কোন ফরমেটের সরকার মেনে নেয়া সহজ হত। কিন্তু সমস্যাটা তৈরি করেছে এই ম্যাংগোপিপোলেরাই।
আর এই জন্যে আজ ম্যাংগোপিপোল জ্বলে পুড়ে ছাই হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আরেকবার বিরোধীদলে যেতে হয় তাহলে ৫ বছর পর ক্ষমতায় আর যাওয়ার সুযোগ হবেনা। এর অন্যতম কারণ বয়স। যেমন বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও খালেদা জিয়ার পক্ষে দেশ চালানো সম্ভব হবেনা তেমনি হাসিনার পক্ষে ২০১৯ সালে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব হবেনা। এমনকি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলেও হাসিনার বিকল্প হিসাবেও জয়ের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব হবেনা।
বিকল্প হিসাবে শেখ রেহানা পরিবারের দিকেই ঘুরে যেতে পারে ক্ষমতার চাকা। শেখ হাসিনার পক্ষে তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস বলে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও তাদের পক্ষে পরপর ক্ষমতায় আসা সম্ভব হবেনা। এর অন্যতম কারন বাংলাদেশের জটিল রাজনৈতিক হিসেব নিকেষ - মানুষের জন্যে কাজ করা, সুশাষণ বজায় রাখা, বাহিরের শক্তির মন জোগানো, আর সর্বপরি নিজের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিরোধীদের দমন করা। বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দলই পরপর ২ বার ক্ষমতায় আসতে পারবেনা এই শেষোক্ত কারণে।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা নিত্যনতুন উপায়ে দূর্নীতি করে। আর এই দূর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে তারা নিত্যনতুন উপায় অবলম্বন করে আর বিরোধীদের উপর চালায় অত্যাচারের স্টিমরোলার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা যায় এ নিয়ম চলতেই থাকবে আর কোন সরকারই পরপর দু টার্ম জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবেনা, যদিনা তারা এই নেগেটিভ রাজনীতি বাদ দিয়ে পজেটিভ রাজনীতি শুরু করে। দুনেত্রীর আমলে এর সম্ভাবনা নেই। জয়ের পক্ষেও তা সম্ভব না।
তারেক যদি গত ৫ বছরে কিছুটা শিখে থাকে তা হলে অন্য ব্যপার।
বর্তমান অচলাবস্হা সমাধানে শুধু এই টার্মের জন্যে একটি ক্ষনস্হায়ী ব্যবস্হা আর দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানে একটি দীর্ঘস্হায়ী সমাধান খুজতে হবে।
দ্বিতীয় পর্বে সমাপ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।