আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চারুলতা- তিন

তোমাদের পাগল বন্ধু

মনে করো তোমার জীবনটা একটা ওভার ব্রিজ। প্রতি ধাপে, প্রতিটা বাঁকে আমি- কখনো ফেরিওয়ালা, কখনো পথচারী, কখনো নুলো ফকির, কখনো উদাস কিশোর টোকাই, কখনো ক্লান্ত মুটে, ঘুমন্ত মুটে, বিপজ্জনক ভঙ্গিতে কিনারে শুয়ে থাকা মুটে, কখনো আমি আমি হয়ে তোমার পাশ কাটাবো, কিংবা তুমি আমার। ওভার ব্রিজের গ্রাফটার সব উত্থান পতনে আমাদের দেখা হবে চারুলতা। আমরা ষঢ়ঋতুর একেকটা কাল অতিক্রম করবো। ব্রিজটার কিনারে দাঁড়িয়ে দমকা বাতাসে ছাতা উল্টাবে তোমার, অঝোর বৃষ্টির দিনে।

ভর রোদ্দুরে হাত দিয়ে চোখ আড়াল করে আমাদের পায়ের নিচে ছুটন্ত শহরে তাকাব। শরতের তারা জ্বলা আকাশটাও দেখবো, রাত্রিবেলা। স্যান্ডুইচের মত পায়ের তলার নক্ষত্র আর আকাশের নক্ষত্র আমাদের দম আটকানো মুগ্ধতা নিয়ে চেপে আসবে। এই শহরে কখনো সারস দেখিনি। কিন্তু ওভার ব্রিজটার ওপর দিয়ে একটা সারসের ক্লান্তিহীন আনাগোনা থাকবে।

চারুলতা, কাছাকাছি থাকবে একটা বিশাল বিলবোর্ড, টু-লেট। কোনো সেলফোন কোম্পানীর সুন্দরী মডেলের ছবির অপেক্ষায়। আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবিওয়ালা বিলবোর্ডের কি দরকার? টু-লেটেরও মর্মার্থ থাকে। অপেক্ষা। অপেক্ষা।

অপেক্ষা। কিছু একটার অপেক্ষা। কোনো একজনের অপেক্ষা। আমার জীবনে তোমার; কিংবা তোমার জীবনে আমার। অথবা আমাদের জীবনে অন্য কেউ, কেউ’রা।

প্রেম পারঙ্গম দূর্বার কোনো আকর্ষণ থাকবে না, থাকবে নির্লিপ্ততা আর পরস্পরকে না চেনা একটা ভাব। অপরিচিত, আপনজন। চারুলতা, আমার দু ছত্র কাব্যের রাইটার্স ব্লকেজে আমার চিন্তার অযুহাত হবে? আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কল্পনা হবো ওভার ব্রিজের নিঃসঙ্গতার মুহূর্তে। একে অন্যকে দেখতে পাবো, আবার একে অন্যকে দেখতে পাবো না। এই শহরে সমুদ্র আসবে না, ময়ূরাক্ষী নদীও আসবে না।

তবু অসীম সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে অসহায় হয়ে যাওয়া একটা অনুভূতি জলের ঝাপটার মত এসে আছড়ে পড়বে, আমাদের দুজনের ওপর। ১২/১১/২০১৩ সাটিয়াবাড়ী, শ্রীপুর, রাজন্দ্রপুর।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।