ও পথ মাড়িও না যে পথ তুমি চেননাকো----
চীন তার কয়েক দশকের ধরে রাখা এক দম্পতি এক শিশু নিয়মে পরিবর্তন আনছে । চীনের কম্যুনিস্ট পার্টি সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এতে যেসব পরিবারে মাত্র একটি শিশু আছে তারা আরেকটি শিশুর জন্ম দিতে পারবেন । চীনে দীর্ঘ দিন এই বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক ছিল । বলা হতো শিশুদের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভাগাভাগি করার প্রবনতা কম ছিল ।
বরঞ্চ একটি শিশু একাকিত্তের জীবনে কৃপণ স্বভাবের দিকে ধাবিত হচ্ছিল । সে ক্ষেত্রে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর শিশুদের উদাহরন দিয়ে দেখা গেল শিশুর বিকাশে তার সঙ্গী প্রয়োজন । গ্রাম এলাকায় বিশেষ করে চাষাবাদ নির্ভর গ্রামগুলিতে তারা রাষ্ট্র নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে একাধিক শিশু সন্তানের জন্ম দিত। এই সন্তানেরা বৃদ্ধ বয়েসে জমিতে বাবাকে সাহায্য দিত । এতে মেয়ে শিশুদের ভাগ্যে কোন পরিবর্তন আসছেনা ।
চীনের সমাজকল্যান বিষয়ক বিভাগ ১০ লক্ষ বা তার বেশী রাস্তায় ফেলে যাওয়া কন্যা শিশুদের নিয়ে বিব্রত । অধিকাংশ মা বাবার চাহিদা একটি ছেলে সন্তানের । এজন্য হাসপাতাল গুলোতে কঠিন নির্দেশ ছিল হবু মাকে কোনভাবেই গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানানো যাবেনা । অনেকে কন্যা সন্তান ভেবে অ্যাবরশন করার ঝুঁকি নিতো । কিন্তু চীনের গেল মানুষ গননায় মেয়েদের সংখ্যাই বেশী ।
বিবাহ হয়নি এমন মেয়েদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে । আবার ছেলেরা তাদের মন মতো প্রেমিকা তো দুরের কথা টাকা দিয়েও একটি মেয়েকে কদিন বন্ধুর অভিনয় করার জন্য রাজি করাতে পারছে না ! নিন্ম মজুরির যুবকরা বান্ধবী অথবা স্ত্রী বঞ্চিত । মা বাবা খুব দুঃখ করে ছেলের ব্যার্থতার জন্য । মেয়েরাও তাদের ইস্পিত ও আকাংক্ষিত যুবকের সন্ধান পায়না । চীনের ধনী পুরুষরা এখন নতুন রাস্তা বেছে নিয়েছে ।
তারা ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকে ঘটকের মাধ্যমে বিবাহ যোগ্য মেয়েদের নিয়ে আসছে খুব খুশি মনে । আগত মেয়েটি কিন্তু চীনা ভাষা জানেনা , এ নিয়ে পরবর্তীতে লিখব ।
নতুন নিয়ম অনেককে খুশিতে ভাসাবে আবার অনেকেই তাদের ব্যাস্ত জীবনে এক সন্তানেই খুশি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।