আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালোবাসার জৈবিক বিজ্ঞানঃ BROKEN HEART

সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে
বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম ভালোবাসার জৈবিক বিজ্ঞানঃ BROKEN HEART ব্লগকে মিস করি। লিখতেও ইচ্ছা করে আবার ভালো ভালো লেখাগুল মিস করতেও ইচ্ছা করে না। বেশীর ভাগ সময়েই আমার ভালো লাগা আর নির্বাচিত পাতা দুই রাস্তায় হাঁটে। তাই ওখানে আর খুজি না।

কিন্তু সংকলন পোষ্ট গুলো বড়ই উপকারী। যাই হোক আমার লেখা শুরু করি, আমাদের অন্তর কই ? অন্তরটা কি জিনিশ ? মন আর অন্তর কি একি ? অন্তর মন আর বুদ্ধিমত্তা তিনটা কি একি ? খুবই সাধারন, কিছু বহুল প্রচলিত প্রশ্ন এগুল। চোখ বন্ধ করে মিনিট দুই ভাবুন। আধুনিক বিজ্ঞানের ধারনা গুলোই মনে আসবে, মনে হবে যেন সবই মস্তিষ্কের খেলা। এই ঘিলুতেই বুদ্ধি, ঘিলুর কিছু অংশের ভালোলাগা খারাপলাগাই মন, আর মনেরই আরেকটা প্যাটার্ন হইল অন্তর (অনেকটা আবহাওয়া আর জলবায়ুর মত)।

ব্যাপারটা এই রকম সিমপল হইলেই ভালো। কিন্তু ব্যাপার গুলা সিমপল না। অন্তরের কথা চিন্তা করলেই, বুকের মধ্যেখানের কোন একটা বিশেষ যায়গার কথা মনে হবে না, এমন মানুষ হয়ত পাওয়া দুষ্কর!! মনকে অবশ্য মাথার দিকে ঠেলে দিতে কারো তেমন কষ্ট হবে না। আর ঘিলু যে মাথার সাথে সম্পর্কিত এটা মানুষ বহু আগে থেকেই জানে । কিন্তু অন্তরের অবস্থান কি হৃদয়ে????? কে কাকে চালায়? ঘিলু অন্তরকে চালায় নাকি অন্তর ঘিলুকে চালায়? নাকি অন্তর ঘিলুতে একটা প্যাটার্ন তৈরি করে রাখে , যে অনুযায়ী মন ঘিলুকে চালায় (আবার কেউ কেউ দ্বীমত করে বলতে পারেন, ঘিলু মনকে চালায়!!) আমাদের হৃদপেশী আমাদের মস্তিষ্কের সাহাজ্য ছাড়াই স্বাধিন ভাবে কাজ করতে পারে, এমনকি তারা নিজে নিজে উত্তেজিতও হতে পারে, এবং অবাক হবার মত বিষয় হল তারা স্নায়ুর মত একে অন্যের কাছে উত্তেজনা ছড়াতেও পারে !!!! শরীরের অন্য কোন কলা বা কোষ এই কাজ গুলো স্নায়ু বা মস্তিষ্কের সাহাজ্য ছাড়া পাড়ে না।

যাই হোক, হৃদয়ের যে কোন অংশই নিজে নিজে স্নায়ু ছাড়াই উত্তেজিত হতে বা চলতে সক্ষম। কিন্তু হৃদয়ের যে অংশটি এই কাজের জন্য বিখ্যাত, তা হল এস-এ নোড। এই এস-এ নোড ইলেক্ট্রিকাল ইম্পালস তৈরি করে যা পুরা হৃদয়ের অন্যান্য যায়গায় ছড়িয়ে যায়, এরই ফলশ্রুতিতে হৃদপেশীর নিয়মমাফিক সংকোচন হয়, তাতে হৃদয়ে ফিরে আসা রক্ত আবার সারা শরিরে ছড়িয়ে যায়। হৃদয় থেকে প্রায় বেশ বড়-সর দুইটি রক্ত নালি প্রায় সরাসরি উপরদিকে আমাদের গলা হয়ে মস্তিষ্কে পৌছায়, এতে পুষ্টিকর অক্সিজেন সমৃদ্য রক্ত যেমন আমাদের ঘিলুতে পৌছায়, তেমনি হৃদ স্পন্দনের শক্তিশালী কম্পনও আমাদের ঘিলুতে প্রতিনিয়ত বাড়ি খায়। যা আমাদের ঘিলু খোশার অভ্যন্তরের সকল শারির বৃত্য কাজ সম্পন্ন হবার জন্য খুবই খুবি জরুরি!!!! Think think think think….. our heart is knocking our head in its each beat !!!!! আবার ঘিলুর প্রধান কাজ হল হৃদয়কে দমিয়ে রাখা, তা না হলে, না আমাদের হৃদয় ঠিক মত কাজ করত, না আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম !!! বুঝিয়ে বলিঃ আগেই বলেছিলাম হৃদপেশী নিজেই কাজ করতে পারে, আর এই কাজের নেতৃত্য দেন এস-এ নোড।

এই এস-এ নোড এর উপর থেকে যদি স্নায়ুর প্রভাব সরিয়ে নেয়া হয় , তবে দেখাযায় যে, তা মিনিটে ৩৫০টি ইমপালস জেনারেট করে, কিন্তু সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকবার জন্য আমাদের দরকার মিনিটে ৬০-১০০টি মাত্র। যা একমাত্র ঘিলুর হৃদয় দমনের কারনেই সম্ভব হয়। হৃদয় যদি স্বাধিন ভাবে কাজ করে তাহলে আমারা বাচতে পারবোনা, নিশ্চিত মৃত্যুই হবে আমাদের ঠিকানা। এজন্যই মাতৃগর্ভে হৃদয় সৃষ্টির পর যখন ঘিলু সৃষ্টি হয়, ক্রমেই তা হৃদয়ের উপর শাসন বাড়াতেই থাকে। এমন কি জন্মের পর থেকে আমাদের বেড়ে উঠা পর্যন্ত ঘিলুর হৃদয় দমন বাড়াতেই থাকে!!! যা আমাদের বেঁচে থাকবার জন্য জরুরি।

উপরে যা আলোচনা করলাম তার সবই পন্ড শ্রম। আমার শিরনাম ছিল ব্রকেন হার্ট। কখন কারো হৃদয় ভেঙ্গেছেন কি বা কেউ আপনার?? আদি অনন্তকালের সকল মানুষই মনের কষ্টের কারনে অন্তর নামক স্থানে কষ্ট পেত। এখনও পায়, বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে কিছুকাল আমাদের ধারনা ছিল, বুকের মধ্যেখানের ঐ স্থানটা গুরুত্ত হীন!!! আসলেই কি তাই??? না আমিও জানি না, বা কনফিডেন্টলি বলতে পারবো না। তবে বিজ্ঞানের উন্নতির কারনে আজ আমরা জানি, আপনি কারো হৃদয় ভাঙ্গতে না পারলেও কাউকে এমন কষ্ট ঠিকই দিতে পারেন যে, কষ্ট পেয়ে বাচারা বা বেচারির হৃদয়ের আকৃতিই পরিবর্তন হয়ে যাবে!!! ব্যাথাতো হবেই, সাথে কষ্ট(মন), আর বোনাস হল হার্ট ফেইল করে মৃত্যু!!! তবে কষ্টে হৃদয়ের এই আকৃতির পরিবর্তন, অস্থায়ী ব্যাপার!!!! মানে শুরুর কষ্টটা মেনে নিতে পারলেই, কিছুদিন পর সব ঠিক ঠাক।

বিজ্ঞানিরা নাম দিয়েছেন octopus pot/ tako tsubo/stress cardiomyopathy !!! অন্তর মন আর ঘিলুর পাজেল শেষ হয় না!! কে যে কাকে চালায়, এখনও ঠিক মত জানি না, মাঝে মাঝে মনে হয় সকলেই কম্লিমেন্টারি, কিন্তু আমার বিজ্ঞান মন বার বারই মনে করিয়ে দেয়, হৃদয়ের সৃষ্টি আগে হয়, আর অন্তর বলেতো কিছুই নেই, .................. তাহলে হৃদয়টাকে চলতে বলল কে ?????? ৮;২৪ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে। আসসালামুয়ালাইকুম। ভালোবাসার জৈবিক বিজ্ঞানঃ টেষ্টোস্টেরন
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.