আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাঁপানি এড়াতে করণীয়

বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি লোক শ্বাসনালির অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। তাদের ৯০ ভাগেরও বেশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পায় না এবং অনেক রোগী মারা যায়। যদিও এ মৃত্যুর ৮০ ভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব যদি আধুনিক চিকিৎসা ও ডাক্তারের তদারকির মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেওয়া যায় তাহলে অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা বা হাঁপানি থেকে সহজেই মুক্ত থাকা যায়। কিছু নিয়ম মেনে চললে অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি রোগী অনেকটা ভালো থাকতে পারেন। হাঁপানি রোগে আক্রান্ত অনেকেরই পশুপাখির লোমে অ্যালার্জি থাকে।

এসব প্রাণী বাড়ির বাইরে রাখুন। বিছানা করুন প্লেন লিনেন দিয়ে। প্রতিদিন দুই বেলা ঘরের মেঝে পরিষ্কার করা দরকার। রোগীর বিছানার চাদর প্রতিদিন ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে এবং মাইট প্রতিরোধক বিছানার কভার ব্যবহার করতে হবে। যেসব জিনিস থেকে ধুলা ওড়ে সেগুলো নাড়াচাড়া করবেন না।

ধুলা, কুয়াশা লাগানো চলবে না।

ধূমপান বারণ : সিগারেটের ধোঁয়া হাঁপানির কষ্ট সাংঘাতিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। শুধু হাঁপানিই নয় ফুসফুস ও শ্বাসনালি সংক্রান্ত অনেক অসুখের অন্যতম কারণ ধূমপান। খোলা হাওয়ার জন্য জানালা খোলা রাখুন। যখন গাড়ির ধোঁয়া, ফুল ও গাছের রেণু বেশি থাকে, তখন জানালা বন্ধ রাখুন।

ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন নিয়ম করে হালকা ব্যায়াম করা খুব জরুরি। তবে একটা ব্যাপার ভুলে গেলে চলবে না, বেশি ব্যায়ামের জন্য যেন হাঁপানির টান না ওঠে। হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো- এগুলো কিন্তু হাঁপানি রোগীদের পক্ষে ভালো ব্যায়াম। টেনশনমুক্ত : কোনো কারণে ভয় পেলে, মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা বা শোক পেলেও হাঁপানির টান হতে পারে। তাই মনটাকে রাখতে হবে টেনশন ফ্রি, শরীর-মন শিথিল করে দেওয়া রপ্ত করতে হবে।

হাঁপানি রোগীর অনুপস্থিতিতে কয়েকটি কাজ সেরে রাখুন। ঘরদোর মুছে ভ্যাকুয়াম করে বা ঝাঁট দিয়ে রাখুন, পোকা-মাকড়ের জন্য স্প্রে করুন, কড়া গন্ধযুক্ত রান্নাবান্না সেরে রাখুন, ঘরে ফেরার আগে হাওয়া খেলতে দিন।

পানি : হাঁপানি চিকিৎসা চলাকালীন রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে দিন।

ঘরের তাপমাত্রা : শীতকালে ঘর গরম রাখতে পারলে ভালো হয়। এছাড়া হাঁপানির আক্রমণ শুরু হলে চটপট তা সামলাতে চেষ্টা করুন।

যে জিনিস থেকে শুরু হয়েছে সেটি থেকে দূরে সরে যান। সালবুটামল জাতীয় ওষুধের ইনহেলার ব্যবহার করুন প্রয়োজনে পাঁচ মিনিট পর পর। প্রয়োজনে কাছের কোনো ডাক্তারের সাহায্য নিন। তাছাড়া রোগীদের চিকিৎসায় অ্যালার্জির ধরন অনুযায়ী ডাক্তার ভ্যাকসিন দিলে তা ঠিকমতো দিতে হবে। অ্যালার্জি ভ্যাকসিন আধুনিক চিকিৎসার একটা অংশ।

দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে এর কোনো বিকল্প নেই। তাই ডাক্তারের নির্দেশমতো সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে ভ্যাকসিন নিতে ভুল করবেন না।

ডা. গোবিন্দচন্দ্র দাস, দি অ্যালার্জি সেন্টার, ঢাকা। ফোন : ০১৯২১৮৪৯৬৯৯, ০১৭২১৮৬৮৬০৬

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.