আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে করণীয়

হাঁপানির প্রধান কারণ : মাইট, মোল্ড, ফুলের রেণু বা পরাগ, ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়া, ঘরের ধুলো ময়লা, প্রাণীর পশম এবং কিছু রাসায়নিক দ্রব্যাদি বা দুর্গন্ধ।

প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা : সাধারণত রক্তের বিশেষ পরীক্ষা ও বুকের এক্স-রে করতে হয়।

স্কিন প্রিক টেস্ট : এই পরীক্ষায় রোগীর চামড়ার ওপর বিভিন্ন অ্যালার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং কোন কোন জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি আছে তা ধরা পড়ে।

স্পাইরোমেট্রি : ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়।

অ্যালার্জেন পরিহার : হাঁপানির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা।

তাই রোগীদের প্রথমেই অ্যালার্জি পরীক্ষা করে জানা দরকার কোন জিনিস বা কিসে কিসে অ্যালার্জি হয়।

ওষুধ প্রয়োগ : নানা ধরনের হাঁপানির ওষুধ আছে। প্রয়োজন মতো ওষুধ সেবনে রোগী সুস্থ থাকতে পারে।

অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও হাঁপানি রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।

বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভ্যাকসিন পদ্ধতির চিকিৎসাকে অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি রোগের অন্যতম চিকিৎসা বলে অভিহিত করেন। এটাই হাঁপানি রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকার একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। আগে ধারণা ছিল হাঁপানি একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে এলার্জিজনিত হাঁপানি রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব।

অবহেলা করলে নিরাময় করা কঠিন।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ফোন : ০১৭২১৮৬৮৬০৬।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.