শাসক দল । ।
বাংলাদেশের লাখো মানুষের কাছে হাঁপানি বা এ্যাজমা একটি মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি। এদেশের প্রায় ৬০-৭০ লাখ লোক এ রোগে আক্রান্ত। অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে, হাঁপানী বা এ্যাজমার কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই, যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার দ্বারা হাঁপানীর উপসর্গের প্রকোপ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়া যায় মাত্র, ঔষধ সেবন বন্ধা করে দিলেই সে উপসর্গ আবার দেখা দেয়।
লিখেছেন
ডা.এ কে এম মোস্তফা হোসেন
বাংলাদেশের লাখো মানুষের কাছে হাঁপানি বা এ্যাজমা একটি মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি। এদেশের প্রায় ৬০-৭০ লাখ লোক এ রোগে আক্রান্ত। অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে, হাঁপানী বা এ্যাজমার কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই, যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার দ্বারা হাঁপানীর উপসর্গের প্রকোপ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়া যায় মাত্র, ঔষধ সেবন বন্ধা করে দিলেই সে উপসর্গ আবার দেখা দেয়। বর্তমানে এ ধারণাটি ভুল, কারণ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বর্তমানে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানীর অনেক অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এ রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়, তবে যথোপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁপানী নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।
হাঁপানী রোগীদের সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থার আওতায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এ্যাজমা রোগীদেরকে মুখে খাবার ওষুধের চেয়ে ইনহেলার বেশি ব্যবহার করতে দেয়া হয়। কারণ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, কম পরিমাণ ওষুধ লাগে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত শ্বাসকষ্টের পরিমাণ কমে যায়। ইনহেলার এ্যাজমা রোগীর এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা কিনা রোগী শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে টেনে নেয় এবং ওষুধ শ্বাসনালীতে পেঁৗছায়।
হাঁপানী রোগীদের অনেকেই মনে করেন, ইনহেলার হাঁপানীর সর্বশেষ চিকিৎসা।
ইনহেলার একবার ব্যবহার করলে পরবর্তীতে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ কমানোর জন্য আর অন্য কোন ওষুধ কাজে আসবে না। তাদের জেনে রাখা ভাল, হাঁপানী বা শ্বাসকষ্টের প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে ইনহেলার। ইনহেলার শ্বাসকষ্ট লাঘবে খুব দ্রুত কাজ করে, যেখানে সেবনযোগ্য ট্যাবলেট বা বড়ি খেলে ২০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগে।
একটি উদাহরণের সাহায্য তা সহজে বুঝা যায় :
৪ হাজার মাইক্রোগ্রাম ওষুধ থাকে একটি ভেনটোলিন ট্যাবলেট। কোন হাঁপানী বা শ্বাসকষ্টেরা রোগীকে যদি এটি মুখে সেবন করানো হয়, তবে এর প্রায় ৩ হাজার ৯৮০ মাইক্রোগ্রাম ওষুধ রক্তের সাথে মিশে সমস্ত দেহে চলে যায়।
আর প্রায় ১০ থেকে ২০ মাইক্রোগ্রাম ওষুধ রক্তের মাধ্যমে শ্বাসনালীতে পেঁৗছে এবং শ্বাসকষ্ট লাঘব করে।
আর্ ইে ভেনটোলিন যদি ইনহেলারের মাধ্যমে নেয়া হয় তবে তা সরাসরি শ্বাসনালীতে পেঁৗছায় এবং খুব তাহাতাড়ি শ্বাসকষ্টের উপশম করে। তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবার কোন সুযোগ থাকে না। তবে একটা কথা অবশ্যই জানা দরকার, ইনহেলার ব্যবহারে যথোপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে যদি এর ব্যবহার বিধি সঠিকভাবে জেনে নেয়া যায়। ছোট কোন ক্যানিস্টার বা কৌটায় সাধারণত ঔষধ থাকে।
সব সময় ইনহেলার ব্যবহারের ফলে তা ঝাঁকিয়ে নিলে ভাল। শ্বাস নেয়া এবং ক্যানেস্টারে চাপ দেয়া আগে পরে হলে ইনহেলার ব্যবহারের কোন ফল পাওয় যাবে না। ঠিক শ্বাস নিতে আরম্ভ করার সময় ক্যানেস্টার চাপ দিতে হবে। যাতে ঔষধ সরাসরি শ্বাসনালীতে পেঁৗছায়। মুখের দেড় থেকে দুই ইঞ্চি সামনে ইনহেলার মাইথপিস রেখে শ্বাস গ্রহণ করলে ঔষুধের অধিকাংশ পরিমাণ শ্বাসনালীতে যায়।
শ্বাসের সঙ্গে ঔষধ টেনে নেবার পর ১০-২০ সেকেন্ডের মত শ্বাস বন্ধ করে রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট বা এ্যাজমা রোগীদের খুব তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্টের পরিমাণ লাঘবের জন্য সাধারণত সালবিউটামল উনহেলার সিরাপ, ট্যাবলেট দেয়া হয়্ বেং এর কার্যকারিতা থাকে প্রায় ৪ ঘণ্টার মতো। ইনহেলার ১ বার ব্যবহারের পর ৪ ঘণ্টার মধ্যে আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সাথে অন্য ঔষধ দিতে হবে। যে ওষুধই ব্যবহার করা হোক না কেন অবশ্যই তা চিকিৎসকের উপদেশ বা পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।
হাঁপানী রোগীদের দীর্ঘ সময় সুস্থ্য থাকার একটি অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে ইনহেলার।
সালবিউটামল ছাড়াও বর্তমানে শ্বাসকষ্টের রোগীদের ব্যহার উপযোগী ওষুধসমূহ ইনহেলার হিসাবে পাওয়া যাচ্ছে। ইনহেলার ব্যাপারে ভয় পাবার কিছু নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ ব্যক্তি ও ইনহেলার ব্যবহার করতে পারে। সকল ইনহেলার একই ধরনের কাজ করে না। তাই বিশেষজ্ঞগণ রোগীর হাঁপানীর কারণ ও ধরণ বুঝে ওষুধ নিয়ে থাকেন
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।