কেউ যদি চাঁদা চাই তাহলে তাকে পিটিয়ে মারুন বলে নির্দেশ দিলেন স্বয়ং শাসকদলের বিধায়ক। প্রয়োজনে মস্তানদের শায়েস্তা করতে আইন হাতে তুলে নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পুলিশের সামনেই গুন্ডা চাঁদাবাজদের পিটিয়ে মেরে ফেলার পরামর্শ দিলেন তিনি।
দুষ্কৃতী দৌরাত্মে অতিষ্ঠ চুঁচুড়ার ব্যবসায়ীদের ডাকা সভায় তৃণমূলের ওই বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্যে অবশ্য গোষ্ঠীবাজিও প্রকাশ্যে এসে পড়ে। তার এলাকায় মদন মিত্রের নাম নিয়ে কোনো দাদাগিরি চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ প্রশমনে চুঁচুড়া থানার আইসি নির্মল যশ নির্দিষ্ট এক দুষ্কৃতীর নাম করে তাকে ধরে দিতে পারলে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেন। চাঁদাবাজি রুখতে করণীয় স্থির করতে ব্যান্ডেলের চৌমাথায় শনিবার কনভেনশন ডেকেছিল ১৪টি ব্যবসায়ী সংগঠন। সেখানে রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বিধায়ক অসিতবাবু বক্তব্যে বিধায়ক বলেন, কেউ আপনাদের কাছ থেকে চাঁদা চাইতে এলে তাদের ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলুন। মঞ্চে তখন বসে রয়েছেন থানার পুলিশকর্তারা।
তাদের সামনেই অসিতবাবু বলতে থাকেন, 'কত জনের নামে আর মামলা হবে? মানুষ একবারই মরে। এরপর তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন দুষ্কৃতীদের দিকে। তিনি বলেন, 'এই সভার পর চুঁচুড়ার কোথাও যদি দুষ্কৃতী হামলা হয়, আমি দলবল নিয়ে গিয়ে তার জবাব দেব। তার আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি পুলিশও।
তৃণমূল বিধায়কের ক্ষোভ, পুলিশের মধ্যে কেউ কেউ উর্দি পড়ে মস্তানদের তাঁবেদারি করেন।
সেই পুলিশকর্মীদের চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল, যখন তখন তাদের কাছে টাকা দাবি করছে মস্তানরা। ওদের ভয়ে রাত ৯টাতেই দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। ওই দুষ্কৃতীরা পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে সিপিএমকে ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।