এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার
মনে করুন, আপনি একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন অতএব এই বাড়ির নাড়ি-নক্ষত্র আপনার জানা হয়ে গেছে। হঠাৎ একদিন ঘর গোছানোর সময় আবিষ্কার করলেন যে আপনার বেডরুমে এমন একটি দরজা আছে যেখান দিয়ে অন্য এক জগতে যাওয়া যায়; যে জগতে ডাইনোসরেরা কবিতা লিখতে পারে। বিজ্ঞানীরা এখন এমনই এক পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
এতদিন মনে করা হত যে পদার্থ যতগুলো মৌলিক কণিকা দ্বারা গঠিত তার সবগুলোই আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে জাপানের KEK ল্যাবরেটরি, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মিল্যাব ও ইউরোপের সার্নে গবেষকেরা নতুন একটি (দু’টিও হতে পারে) মৌলকনিকার সন্ধান পেয়েছেন এবং এদের সম্পর্কে কোন তথ্য স্ট্যান্ডার্ড মডেলে নেই।
গত প্রায় ৪০ বছর ধরে কণা পদার্থ বিজ্ঞানের প্রায় সবকিছুই স্ট্যান্ডার্ড মডেল এর সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হত। স্ট্যান্ডার্ড মডেলে মৌলকণিকা সমুহের একটি তালিকা আছে এবং এই কনিকাসমুহের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়া বর্ণনা করার জন্য রয়েছে প্রধানত তিনটি তত্ত্ব। এরা হল কোয়ান্টাম ক্রমোডাইনেমিক্স (QCD), কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডাইনেমিক্স (QED), এবং ইলেক্ট্রোউইক তত্ত্ব(EWT)।
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মিল্যাবের বিজ্ঞানী ডন লিংকনের মতে নতুন কণিকা আবিষ্কৃত হবার অর্থ এই নয় যে QCD ভুল; বরং এর অর্থ হল আমরা এখনও QCD কে সম্পুর্ণ গড়ে তুলতে পারিনি।
www.sciencetech24.com
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।