সংশোধিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৩ আইনটি অসাংবিধানিক, বৈষম্যপরায়ণ, প্রতারণামূলক ও আত্মঘাতী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ দাবি করেন।
ইফতেখারুজ্জামান জানান, সংশোধিত দুদক আইনটির বিষয়ে কথা বলতে ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে সাক্ষাতের সময় চেয়ে আবেদন করেছে টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১১৫ বছরের পুরোনো ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারা দুদক আইনে ঢুকিয়ে জজ, ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার বিধান রেখে আইনটিকে অসাংবিধানিক করা হয়েছে।
দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়া এ ধরনের পূর্ব অনুমতি সংগ্রহ করা কতটা অসম্ভব, তা বলা বাহুল্য।
একটি বিশেষ শ্রেণীর ব্যক্তিদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করায় আইনটি বৈষম্যমূলক বলে প্রতীয়মান হয়। সংবিধানে বলা আছে, রাষ্ট্রের চোখে প্রত্যেক নাগরিক সমান। সে হিসেবে এ ধারাটি পুরোপুরি অসাংবিধানিক। সংশোধিত আইনটিতে ৩১ (২) ধারা ও ৩২ (ক) ধারার প্রতিস্থাপন পুরোপুরি আত্মঘাতীমূলক।
টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল অভিযোগ করেন, মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সরকার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট হয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দুদককে শক্তিশালী করার যে বিশেষ প্রতিশ্রুতি ছিল, সে বিষয়টি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পদদলিত করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।