নিষেধাজ্ঞা কেন?
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া,মানবাধিকার কর্মীদের নিপীড়ন বন্ধ করা এবং বিরোধীদলের সঙ্গে মিলে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছানো,” পরামর্শ রাখা হয়েছে সম্পাদকীয়তে।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য নিউ ইয়র্ক টাইমস শেখ হাসিনাকেই দায়ী করেছে।
“বছরের শুরুতেই টানা হরতালে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় পঙ্গু হয়ে পড়ে এবং সহিংসতায় শতাধিক নিহত হয়। ”
“বিরোধী দলের কয়েকজন প্রধান নেতা এবং মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছে।
”
নির্বাচনে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করাটি একটি ভুল ছিল বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে।
“প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সহযোগী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ায় আগামী নির্বাচনে তাদের অংশ নেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ”
“আওয়ামী লীগের সমর্থকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে ইসলামী দলগুলো বাংলাদেশের ভিত্তির জন্য হুমকি হতে পারে; যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে দেশটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছিল। ”
“কিন্তু জামায়াতে ইসলামকে নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তটি এর ক্ষুব্ধ সমর্থকদের রাস্তায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য করেছে। ”
সম্পাদকীয়টিতে সবচেয়ে বড় সমালোচনাটি হয়েছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আদালত নিয়ে।
“আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিরোধী দলের কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। মূলত বিরোধী দলকে শায়েস্তা করতেই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।