আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কারনে আমি পরকালে বিশ্বাস করি ?

কখগঘ
পরকালের ধারনা কি রুপকথা ! আবহমান কাল থেকেই মানুষের মাঝে একই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খেয়েছে, মানুষ মারা গেলে,.. তার পর কি হয় ! পরকাল কি আসলেই আছে! কেউ বলেছে হা পরকাল না থাকলে এই সৃষ্টির ভেদ কি ! আবার কেউ কেউ পরকাল ধারনা টি একেবারেই উরিয়ে দিয়েছে। অতি সম্প্রতি বিশ্বখাত বিগ্গানী স্টিফেন হকিংস একটা কথা বলেছেন, 'পরকালের ধারনা একটি রুপকথা', তার কিছুদিন আগে উনি উনার খুবই প্রসিদ্ধ একটি বই 'গ্রান্ড ডিজাইন' এ বলেছিলেন 'মহাবিশ্বের তৈরিতে ঈশ্বরের ভুমিকার কোন দরকার নাই'....এইবার আসুন আরো একটু পিছনে ফিরে তাকাই, আজ থেকে প্রায় ২০বছর আগে যে বইটি উনাকে বিশ্বখাত বিগ্গানী আসনে নিয়ে গিয়েছিলো, সেই বইটি হল 'আ ব্রিফ স্টোরি অফ টাইম' বা কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, (এই বইটি আমাদের দেশে এভাইলেবল, নিলখেতে পাওয়া যায়) বইটিতে এই প্রতিভাবান মানুষটিই কিন্তু স্বীকার করে নিয়েছিলেন, মহাবিশ্ব তৈরিতে ঈশ্বরের ভুমিকা !!! পরকালের কোন সায়িন্টিফিক প্রুফ বা ডিসপ্রুফ নাই, এটা বিশ্বাসের বেপার। আমি খোদা তালার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন স্টিফেন হকিংস কে আরো অন্তত ২০ বছর হায়াত দেন যাতে মরার আগে বলে যেতে পারেন মহাবিশ্ব তৈরিতে 'ঈশ্বরের ভুমিকা' অফকোর্স আছে। আমি বা আমরা যারা সায়েনস নিয়ে বাস করি, আচ্ছা আপনারা কেউ কি বলতে পারেন, কোথাও কোন ট্রপিকস এ সৃষ্টিকর্তা প্রষঙ্গ এসেছে ! আমার মনে হয় বিগ্ঙানে ঈশ্বরের ভুমিকা টেনে আনাটা আজাইরা কেচাল, পাবলিকের দৃষ্টি আকর্ষনের একটা কৌশল, সাথে সাথে বইটির কাটতি বাড়ানোর একটা কৌশল মাত্র। প্রষঙ্গ :: আমি যে কারনে পরকালে বিশ্বাস করি ? আসুন খুব সহজ একটা অংক করি : ধরুন, সামাজিক আয়াত সংখা, ক = ১২ টি বৈগানিক আয়াত সংখা, খ = ১৫ টি অর্থনৈতিক আয়াত সংখা, গ = ২০টি পরকাল আয়াত সংখা, ঘ = ? ক + খ +গ+ ঘ = ৬৬ বা, ১২ + ১৫ + ২০ + ঘ = ৬৬ বা, ঘ = ৬৬- ৪৭ অতএব, ঘ = ১৯ আমার এই অংকের শানে নূজুল :: আমি ধরে নিয়েছি, কুরানের সব আয়াত সঠিক এবং মোট আয়াত সংখা ৬৬ টি.... কুরানের সামাজিক আয়াত-১২ , বৈগানিক আয়াত - ১৫ (আসলে কুরানে বৈঙ্গানিক আয়াত ৭০০ র মত ), অর্থনৈতিক আয়াত - ২০, .......আজ পযন্ত কেউ একটি আয়াত ভুল প্রমান করতে পারে নাই।

তাহলে পরকালের আয়াত -১৯ টি সঠিক হবেই। আরো ক্লিয়ার করছি, সামাজিক আয়াত গুলো সঠিক না ভূল ? সঠিক। বৈগানিক আয়াত গুলো সঠিক না ভূল ? সঠিক। ------------------------------------------ আচ্ছা বাস্তবিক সব বানী যদি সঠিক হয়, তাহলে পরকালের আয়াতগুলো কে সঠিক হবে না !!! আমি এখানে এই যে "ধরে" নিয়েছি, আমার এই 'ধরে' নেয়েটা আসলে আমার ধর্ম বিশ্বাস (১০০%), আমি প্রথম তিনটি বিশ্বাস করে এগিয়ে গেছি, পরে ৪র্থ টি ও অনুভব করতে পেরেছি। সুতরাং আমার কাছে সম্পুর্ন কুরান সঠিক, আর কুরান যেহেতু সঠিক, সুতরাং কুরানের পরকাল ভিত্তিক আয়াতগুলো ও সঠিক, তার মানে, কথা সঠিক হলে, পরকাল যে আসলেই আছে, সেটাও সঠিক।

ক্লিয়ার !!! আচ্চা খুব সিম্পল একটা লজিকে আসুন। আমি অপু কাউসার, আমার বাড়ি রাজরাড়ী জেলার, সদর থানার, মিজানপুর ইউনিয়নের, বাগমারা গ্রামের রাজা বিশ্বাসের বাড়ি। আপনি ঢাকা থেকে বিভিন্ন ভাবে ওখানে যেতে পারেন, এই ধরুন হেলিকপ্টার নিয়ে যেতে পারেন যদি আপনার অনেক টাকা থাকে, আবার ট্রেনে, বাসে ও যেতে পারেন, এমন কি খুব শক্তিশালী বীরপুরুষ হলে হেটেই যেতে পরেন ! ধরুন আপনি একটা প্রাইভেট-কার নিয়ে রওনা দিয়েছেন, গাবতলী হয়ে মানিকগন্জ হয়ে, পাটুরিয়া যেয়ে ফেরি পার হয়ে গোয়ালন্দ হয়ে ---রাজবাড়ী। রাজবাড়ী থেকে ১০মিনিট সামনে এগুলেই বাগমারা গ্রাম, ওখান থেকে ৫মিনি গেলেই বিশ্বাস বাড়ি....আপনি অনেক কষ্ট করে ওখানে গিয়ে দেখলেন আমি অপু কাউসার আসলেই ঐ বাড়ি তে থাকি বা আমাকে খুজে পেলেন.....আপনি কি আমার অস্তিত্বে বিশ্বাস করবেন ? কেন নয় ! আর যদি আমাকে না পাইতেন, তাহলে আমি ভুল বা আমার কোন অস্তিত্ব নাই। ক্লিয়ার ! আসলে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস ঠিক এমন একটা বেপার, আপনাকে সবকিছুই বিশ্বাস করতে হবে, যেগুলো বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে, মনে কোন সন্দেহ রাখা যাবে না, শরিয়তে যে যে নিদেশ আছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে, আত্তা শুদ্ধি করতে হবে, খাবার সম্পুর্ন হালাল হতে হবে, জীবন ধারনে কোন রকম অসততা অবলম্বন করা যাবে না, মানুষের উপর অবিচার করা যাবে না........ আপনি যদি নিজেকে এই অবস্থায় নিয়ে যেতে পারেন ! ওকে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে পরুন, এবার শরীর পাক-পবিত্র হয়ে প্রার্থনায় মগ্ন হোন, সিজদায় চলে যান, চোখের পানি ফেলুন......! এভাবে কিছুদিন চলুন খোদাতালার কাছে প্রার্থনা করুন, তাকে ডাকতে থাকুন, তার কাছে চান........... কি অনুভব করলেন আমাকে জানাবেন !!! এরপর বলেন যে সৃষ্টিকর্তা নেই, তিনি ডাক শুনেন না, পরকাল নেই .....!!! তার আগে বইলেন না পরকাল নাই ।

আমি আমার খোদাকে এই কারনেই বিশ্বাস করি, কারন উনি আমার ডাক শুনেন, যদি ডাকার মত সঠিক ভাবে ডাকি । আসলে সৃষ্টিকর্তা অস্তিত্ব অনুভব করা যায় খুব ভালো ভাবে যদি আপনি মারিফাতের রাস্তায় আগান, শুধু শরিয়ত দিয়ে তাকে অনুভব করা সম্ভব নয়, সম্ভব নয় যুক্তি দিয়ে তাকে খুজে পাওয়া। আর একটি কথা, আল্লাহু মানুষ সৃষটি করেছেন....এবং মানুষই আল্লাহু সুভানুতা'লার মুখাপেক্ষি, এই দায়িত্ব মানুষেরই - দুনিয়াতেই তাকে খোজা, এর মাধমে কিমিয়ায়ে সা'য়াদা বা সৌভাগগ লাভ করা।
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.