বকেয়া বেতনের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। ডায়াবেটিক সমিতি ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত এই হাসপাতালের ১২৬ জন চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাত মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঠাকুরগাঁও ডায়াবেটিক সমিতি ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০০৬ সালে স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রকল্পের অধীনে ঠাকুরগাঁও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতাল ও রানীশংকৈল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ১২৬ জন চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করছেন। কিন্তু সাত মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না।
এরই প্রতিবাদে এবং বেতনের দাবিতে গত সোমবার এক ঘণ্টা, মঙ্গলবার দুই ঘণ্টা ও গতকাল বুধবার তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম একরামুল হোসেন জানান, হাসপাতালের যাবতীয় আয় নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠিয়ে দিতে হয়। মাসিক চাহিদার ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে পরিচালনার খরচ ফেরত আসে। কিন্তু বছর খানেক ধরে মাসিক চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পাওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাকি পড়েছে।
তিনি জানান, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিজেদের আয় থেকেই হাসপাতালের ব্যয় চালাতে হবে। হাসপাতাল পরিচালনায় মাসে বেতন-ভাতাসহ গড়ে ২৫-২৬ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু আয় হচ্ছে ১৮-১৯ লাখ টাকা। তাই ভর্তুকি না পেলে প্রকল্প পরিচালনা অসম্ভব।
হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী তপন দাস বলেন, ‘সর্বশেষ বেতন পেয়েছি গত মার্চে।
সাত মাস ধরে তা-ও না পেয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি। দোকানিরাও এখন আর বাকিতে পণ্য দিতে চাইছেন না। বকেয়া বেতন না পেলে এখন আর মরণ ছাড়া উপায় নাই। ’
চিকিৎসক নূর আলম মণ্ডল বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার কথা বলেও বকেয়া বেতন-ভাতা পাওয়ার বিষয়ে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। ’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহেদ কামাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
যোগাযোগ করছি বলেই সাত মাসের বেতন বকেয়া। যোগাযোগ না করলে বছরেরও বেশি সময় ধরে বেতন-ভাতা পাওনা থাকত। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কখনোই নিজেদের আয়ে হাসপাতালের ব্যয় চালাতে হবে বলে নির্দেশ দেয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।