প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে কুশল বিনিময়ের সময় বিএনপির নেতাকে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘সরকার উদ্যোগ নিলে আমরা সাড়া দেব। ’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যাননি।
তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমানসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানের সময় প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখোমুখি হন। তাঁরা প্রায় দেড় মিনিট কথা বলেন। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সরকারি দলের চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকেরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে। মির্জা ফখরুল প্রথমে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। পরে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। ’ এ সময় ফখরুলের পাশে থাকা আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বললেন, ‘আসুন, এক সাথে নির্বাচন করি। আপনারা আলোচনায় বসুন।
মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা করতে পারেন। ’ ফখরুল ইসলাম আব্দুস শহীদের এ কথার সময়ও চুপ ছিলেন। এরপর সাংবাদিকেরা ফখরুলের কাছে জানতে চান, ‘আপনারা আলোচনায় বসছেন কি না?’ এর জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার উদ্যোগ নিলে আমরা সাড়া দেব। ’
উল্লেখ্য, গত বছর বাদ দিলে বর্তমান সরকারের সময় এই পর্যন্ত তিনবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তিনি শুধু গত বছর সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
তবে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে দেখা হয় দুই নেত্রীর। ওই সময় কুশল বিনিময়ও হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। তবে সেনানিবাসের বাসা থেকে চলে আসার পর ২০১০ ও ২০১১ সালে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আর দেখা যায়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।