‘রানা প্লাজার সপ্তম তলায় কাজ করছিলাম দুজনে। বিদ্যুত্ চলে গেলে জেনারেটর চালু করার সাথে সাথে একটা বড় শব্দ হয়। ঘরডা কেমন যেন নড়ে ওঠে। চেয়ে দেহি দিয়াল ফাটে গেছে। ঘর ভাঙে পড়তিছে।
ঘরডা ভাঙে পড়ার সাথে সাথে আমার দুই পায়ে খাম্বা আসে পড়ে। পা দুডে থেঁতলে যায়। মুখির বিভিন্ন জাগায় ইটির গুতো লাগে কাটে যায়। স্বামীও আহত হন। এর কিছু সময় পর লোকজন এগোয় আসলি আমাগে চিত্কার শুনে উদ্ধার করে।
একটা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ’
সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনার সেই ভয়াবহ স্মৃতির কথা এভাবেই বর্ণনা করছিলেন নড়াইলের ইসমত আরা। থেঁতলে যাওয়ায় ইসমত আরার দুই পায়ে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। তবে তাঁর স্বামী সামান্য আহত হন। তিনি সুস্থ।
স্বামী হাবিবের সঙ্গে রানা প্লাজার নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেড গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন ইসমত আরা। ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বাঁচলেও কীভাবে জীবন কাটবে, তাই নিয়ে এখন চিন্তা তাঁদের।
হাবিব জানান, গত ২৪ এপ্রিল ইসমত আরাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুদিন পরে তাঁর জ্ঞান ফেরে। একটু সুস্থ হলে গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে দুজনে লোহাগড়ার মাইটকুমড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসায় ফিরে আসেন।
হাবিব বলেন, ‘সপ্তম তলায় আমরা প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ করছিলাম। ভবনধসের ঘটনায় এখন আমরা অসহায়। সবকিছুই কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। অর্থাভাবে স্ত্রীর চিকিত্সা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। সংসারে দুটো সন্তান রয়েছে।
এ অবস্থায় কীভাবে সংসার চলবে, তা-ই ভাবছি। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।