সংলাপ-সমঝোতার জন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের দিকে তাকিয়ে আছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটি মনে করছে, আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে সরকার আসলেই আন্তরিক কি না, তা নির্ভর করছে তফসিল ঘোষণার ওপর।
গত শুক্রবার একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, সোমবারের (আজ) মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে গত শনিবার বনানীর একটি বাড়িতে গোপন বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বৈঠকের পরদিন গতকাল রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেন, তাঁরা তফসিলের আগে প্রধান দুই দলের মধ্যে সমঝোতা চান।
সিইসির এই বক্তব্যে বিএনপি কিছুটা আশাবাদী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বনানীর গোপন বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অনুরোধ করেছেন তফসিল ঘোষণা আপাতত স্থগিত রেখে অন্তত এক সপ্তাহ পেছানো হোক। অন্যদিকে সৈয়দ আশরাফ আলোচনার ক্ষেত্রে তফসিল কোনো সমস্যা হবে না বলে ফখরুলকে জানিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হবে, এমনটি তাঁরা আশা করেন না। বিরোধী জোটের আন্দোলন স্তিমিত করার এটি সরকারি কৌশল কি না, এটিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিকতা বোঝা যাবে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে। আজ-কালের মধ্যে যদি তফসিল ঘোষণা হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে সরকার আন্তরিক নয়, এটি তাদের একটি কৌশল। আর যদি সমঝোতার আগে তফসিল ঘোষণা করা না হয়, তা হলে সরকারের আন্তরিকতা বোঝা যাবে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি সংলাপ-আন্দোলন একসঙ্গে চালানোর নীতিতে আছে। তবে সংলাপ হলে আন্দোলনের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আসবে।
যদি এর মধ্যে তফসিল ঘোষণা হয়ে যায়, তাহলে লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে বিরোধী জোট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।