রাজধানীর বাড্ডায় বোমাবাজির পর হুড়োহুড়ির মধ্যে বাসচাপায় এক রিকশা চালক মারা গেছেন। রাজধানীতে আগুন দেয়া হয়েছে অন্তত চারটি গাড়িতে। কুমিল্লায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ছাত্রদলের এক কর্মী।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিরোধী দলের অবরোধ শুরুর কথা থাকলেও রাজধানীর সঙ্গে সড়কপথে দূরপাল্লার বাস চলাচল সোমবার রাত থেকেই প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। টার্মিনালগুলো থেকে অল্প সংখ্যক বাসই ছাড়তে দেখা গেছে।
সড়ক পথের সঙ্গে রেলপথেও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেলসেতুতে আগুন ও ইমামবাড়ি রেলস্টেশন অবরোধ করায় সোমবার রাত ১১টায় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট ট্রেন চলাচল।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ৫ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার সকাল থেকে অবরোধ ডাকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসে বিরোধী দল।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল কর্মসূচি ঘোষণার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিস্ফোরণ ও গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর আসে।
কারা এই নাশকতা ঘটাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা না গেলেও পুলিশ বলছে, বিরোধী দলের কর্মীরাই এতে জড়িত।
রাজধানীতে বোমাবাজি, গাড়িচাপায় রিকশাচালকের মৃত্যু
সিইসি সোমবার সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার কিছু সময়ের মধ্যে রাত ৮টার দিকে মধ্যবাড্ডায় প্রগতি সরণিতে কয়েকটি হাতবোমা ফাটানো হয়। এতে রাস্তায় যানবাহনের চালকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত ওই এলাকা ছাড়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা সিএনজি নামের একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে তুরাগ পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকের মৃত্যু হয় বলে বাড্ডা থানার ওসি মো. ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম জানাতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মহাখালী পুলিশবক্সের কাছে বিকট শব্দে চারটি হাতবোমা ফাটানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এ সময় তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে বনানী থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
আব্দুর রহমান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে রাস্তায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কাউকে কাউকে আশ্রয়ের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে দেখা যায়।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায়ও বোমাবাজির খবর পাওয়া গেছে।
আব্দুল্লাহপুর, মিরপুর, ফার্মগেইট ও মতিঝিলে চারটি বাসে আগুন দেয়ার খবর জানিয়েছে অগ্নি নির্বাপক বাহিনী ও পুলিশ।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুল্লাহপুরে তুরাগ পরিবহনের একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। একই সময়ে মিরপুর-১২ এলাকায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
রাত ৯টার দিকে ফার্মগেইট এলাকায় পুলিশের খাবার বহনকারী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। উপস্থিত লোকজন ওই আগুন নিভিয়ে ফেলে।
রাত সোয়া ৯টায় মতিঝিলের জসীমউদ্দিন রোডে একটি বাস ও রাত সাড়ে ৯টায় গাবতলীতে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
রাজধানী থেকে ছাড়ছে না বাস
সোমবার রাতে রাজধানী থেকে দূর পাল্লার কয়েকটি রুটে বাস ছাড়লেও অধিকাংশ রুটে তা বন্ধ দেখতে পাওয়া যায়।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক বলাই চন্দ্র দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে জানান, গাড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের আশঙ্কায় তারা রাত থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
“দেশের বিভিন্ন জেলায় যে সব বাস ইতোমধ্যে পৌছে গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের ওই জেলাগুলোতেই থাকতে বলা হয়েছে। ”
সোমবার রাতে যাদের টিকিট কাটা ছিল, তাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে বলে বলাই জানান।
সন্ধ্যার পরপরই বিভিন্ন মহাসড়কে ভাংচুরের খবর আসতে থাকায় বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা।
খুলনাগামী সুন্দরবন পরিবহনের একটি বাসকে সায়েদাবাদ থেকে রওনা হতে দেখা যায়।
বাসচালক আব্দুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঝুঁকি নিয়ে রওনা হয়েছি। রাস্তায় পরিস্থিতি খারাপ দেখলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। ”
মহাখালী বাস মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অবরোধ কর্মসূচিতে যানচলাচলের ‘পরিবেশ’ থাকলে মঙ্গলবার তারা বাস চালাবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের গাবতলী শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “কেউ গাড়ি চালাতে চাইলে চালাবে, কেউ না চাইলে বন্ধ রাখবে। কাউকে কোনো ক্ষেত্রেই বাধ্য করা হবে না। ”
কুমিল্লায় ছাত্রদলকর্মী নিহত
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্থানে রাতে উপর্যুপরি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এর মধ্যে আহত এক ছাত্রদলকর্মী রাত ১০টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত দেলোয়ার হোসেন (২৫) কুমিল্লা শহরের দক্ষিণ চর্থা এলাকার ফজর আলীর ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই সোহেল জানান, দেলোয়ার অটো বাইক চালাতেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, রাত সাড়ে ৮টায় ১৮ দলের মিছিল চলাকালে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটলে দেলোয়ার গুরুতর আহত হন। পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার দাবি করেন, দেলোয়ার পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
পুলিশের গুলিতে আরো অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাত ৮টার দিকে কান্দিরপাড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ১৮ দলীয় জোট। মিছিলটি মনোহরপুর এলাকায় সোনালী ব্যাংকের সামনে আসার পর পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই হারুন জানান, মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় এবং ২০/২৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এবং ঝাগুরঝুলি এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতকর্মীরা অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাংচুর করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জাঙ্গালিয়ার মৎস্য অফিসের কাছে দুটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দেয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ এক চালক রুবেল (৪০) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চৌদ্দগ্রামে বিজিবি টহলে নেমেছে।
রেলে নাশকতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলসেতুতে আগুন ও ইমামবাড়ি রেলস্টেশন অবরোধ করে রাখায় সোমবার রাত ১১টায় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেল যোগাযোগ।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল মোতালেব জানান, ইমামবাড়ি স্টশেনের মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখায় তার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ফলে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন গঙ্গাসাগর রেল স্টেশনে আটকা পড়েছে।
আখাউড়া জিআরপি থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম জানান, অবরোধের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইমামবাড়ি রেল স্টেশনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
কসবা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, রেলসেতুতে আগুন দেয়ার খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
সোমবার আখাউড়ার গঙ্গাসাগরে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১১ ঘন্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। সন্ধ্যা ৭টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই নাশকতার কারণে আবার তা বন্ধ হয়ে যায়।
পাবনার ঈশ্বরদী স্টেশনে রাত ১টার দিকে দুটি ট্রেনের পাঁচটি বগিতে আগুন দেয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী জিআরপি থানার ওসি এনামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত ১টার দিকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌছার পর পরই দূবৃর্ত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সাথে অন্য একটি লোকাল ট্রেনের বগিতেও আগুন দেয় তারা।
আগুনে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি এবং অন্য ট্রেনের ২ টি বগি পুড়ে যায়।
এছাড়াও রাত ১১টার দিকে ঈশ্বরদী রেল গেইট এলাকায় রেল লাইনে আগুন দেয় ১৮ দলের নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর-আগুন
বরিশাল নগরীতে যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা, হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে শিবিরকর্মীরা। এতে এক গাড়িচালক আহত হয়েছেন। আহত গাড়িচালক মনির হোসেনকে (৩২) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চারটি ট্রাক, একটি বাস ও একটি অটোরকিশায় আগুন দেয়া হয়েছে, ভাংচুর হয়েছে অর্ধশত গাড়ি। শহরে বিএনপি ও জামায়াতের মিছিল থেকেও ভাংচুর চালানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে, ফরিদগঞ্জে অটোরিকশায় আগুন ও যানবাহন ভাংচুর এবং হাজীগঞ্জে সড়ক অবরোধসহ বেশকিছু যানবাহন ভাংচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শিবতলা মোড়ে রাত ৮টার দিকে বিজিবির গাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়া হয়। এতে গাড়ির চালক বিজিবি সদস্য আসাদ আহত হন বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মন্জুরুল আলম জানান, সোনা মসজিদ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শেষে সদর ক্যাম্পে গাড়িটি ফিরছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের রেলগেইটে তিনটি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়। সেখানে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াও চলে। শহরে থেমে থেমে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটছে।
লালমনিরহাট শহরে জাতীয় পাটি জাপার কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বিএনপিকর্মীরা রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সদরের মহেন্দ্রনগর, বড়বাড়ী ও মোস্তফিরহাট সড়ক অবরোধ করে রাখে।
দিনাজপুরে ১৮ দলের মিছিল থেকে বেশ কিছু মটরসাইকেল, একটি ট্রাক ও একটি বাস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করায় দিনাজপুর-রংপুর এবং দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ঝিনাইদহ শহরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টপাল্টি মিছিলের সময় দুটি হাতেবামা বিস্ফোরণ ঘটে।
কালীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির মিছিল থেকে দোকান ভাংচুর হয়েছে। শৈলকুপায় কয়েকটি ট্রাক ভাংচুর হয়েছে।
মাদারীপুরে যুবদলের মিছিল থেকে পৌর অফিসের সামনে সড়কে টায়ারে অগ্নি-সংযোগ করা হয়। মুন্সীগঞ্জ শহরের শ্রীপল্লী মোড়ে এবং পিটিআই চত্বরে দুটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া উপজেলা বাউশিয়ায় একটি ট্রাকে আগুন দেয়া হয়।
পাবনায় ১৮ দলের মিছিল থেকে ১০/১২টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই আওয়ামী লীগকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সিরাজগঞ্জে কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কে সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী বাজার এলাকায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা কয়েকটি মোটর সাইকেল ও দোকানপাট ভাংচুর করে। শহরের নবদ্বীপ পুল এলাকায় কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের দিয়ারবৈদ্যনাথ এলাকায় গ্যাস নিতে আসা বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ভাংচুর হয়।
সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকায় কয়েকটি দোকান এবং অটোরিকশা ভাংচুর হয়েছে। পৌনে ৮টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে মিছিল বের করে ১৮ দলীয় জোট। মিছিলটি জিন্দাবাজারে এসেই সহিংস রূপ ধারণ করে। এছাড়া কুমার পাড়ায় বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘঠে।
রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর উত্তরপাড়স্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে বিরোধীদলীয় কর্মীরা। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে একটি বাস ভাংচুর এবং সড়ক ও জনপদ অফিসের সামনে একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।