আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত
বিরোধী জোটের হুমকির মধ্যেই আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকীবউদ্দীন আহমেদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।
এক নির্বাচন কমিশনারের বরাত দিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি খবর প্রকাশ করে, ‘জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি।
’
এছাড়া ইসি সূত্র আরটিএনএন- কে জানিয়েছে, তফসিল অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি।
এর আগে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাইয়ের শেষ দিন ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা যাবে।
আগেই সিইসি জানিয়েছেন, ‘সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার বিধান অনুযায়ী আমরা নির্বাচন করছি।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন ও তার ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করতে হবে। ’
এদিকে, তফসিল ঘোষণা নিয়ে দুপুরে সিইসি কার্যালয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করেছেন নির্বাচন কমিশনাররা। দুপুরের বিরতির পরে বিকেলে ফের বৈঠকে বসেন তারা, যা এখনো (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত) চলছে।
এছাড়া জাতির উদ্দেশে দেয়ার জন্য সিইসির ভাষণও ইতোমধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে এক যোগে এই ভাষণ সম্প্রচার করা হবে।
এর আগে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি ঘিরে সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
কমিশনের প্রধান দুটি ফটকে দুই প্লাটুন করে পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও দুটি প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসিয়ে সবাইকে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। মঙ্গল-বুধ-বৃহস্পতি টানা তিনদিন একযোগে হরতাল ও অবরোধের ডাক দিচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পরপরই এই হরতালের ডাক দেওয়া হবে জোটের পক্ষ থেকে।
নির্বাচনের তফসিল হলে দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে একযোগে এই হরতাল-অবরোধের ঘোষণা আসছে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং তৃণমূলে এই হরতাল পালনের নির্দেশনাও চলে গেছে বলে জানিয়েছে, বিএনপির নীতি-নির্ধারক সূত্র। দলীয় সূত্র জানায়, হরতাল ও অবরোধ উভয় কর্মসূচিই একযোগে পালন করা হবে। অন্য যেকোনো হরতালের চেয়ে কঠোরভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে ১৮ দল, তেমনটাই জানিয়েছেন নেতারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।