আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাবিপ্রবি নিয়ে যে-ই জল ঘোলা করতে নামবে, তারেই এভাবে নগদে ধুয়ে দেওয়া হবে সে যে-ই হোক (যেভাবে শাবিপ্রবি’র পোলাপান আমারব্লগের সুশান্ত দাসগুপ্তের লুঙ্গিতে টান দিল )

আমার পাপ আমাকে নিষ্পাপ করে, আমার ভয় আমাকে সাহসী করে- স্বীকারোক্তি, আর্বোভাইরাস **পোস্টে কোন ছাগু ম্যাৎকার কিংবা শীৎকার দিতে আসিলে তারেও খাড়া গদামের উপর রাখা হবে** > নেতা নয়, নীতি চাই, পীরসাহেবে চরমোনাই! > চরমোনাই পীর দিচ্ছে ডাক, সিলেটবাসী জাগরে জাগ! > নাস্তিকদের আস্তানা ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও! > শাহজালালের তলোয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার! কয়দিন আগে সিলেটের মদিনা মার্কেট পয়েন্টে হালিম খাইতে খাইতে স্লোগান শুনতেছিলাম আর মাথায় যে প্রশ্নগুলা ঘুরপাক খাচ্ছিলো- ১। চরমোনাই পীরের নীতি কি? ২। সিলেটের মাটিতে কোন মূর্তি (মূর্তি আর প্রতিমার পার্থক্য জানে তারা?) থাকবে না। নতুন ভাস্কর্য্য (তাদের ভাষায় মূর্তি) তৈরি নিয়ে তাদের এত চুলকানি। অথচ চেতনা '৭১ যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শাবিপ্রবিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা তাহলে কি? ৩।

নাস্তিকদের আস্তানা বলতে কি কবি এখানে শাবিপ্রবিকে বুঝিয়েছেন??? ৪। বন্দুক গর্জায়, কিন্তু তলোয়ার গর্জায় কেমনে? হযরত শাহজালালের (রাঃ) নাম ভাঙ্গায় সিলেটের মানুষদের একই বাজারে আর কতবার বিক্রি করা হবে? আবার এইদিকে শুরু হইলো নতুন ঝামেলা। মুর্তি নির্মানের বিরোধিতা করে শাবিপ্রবি’র ৫১জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত বিবৃতি ছাপা হল সিলেটের লোকাল পত্রিকাগুলোতে। শাবি’রই প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুশান্ত দাসগুপ্ত সেখানে গণহারে ৫১জনকেই ছাগু ট্যাগ দিয়ে সাস্টের ফেসবুক গ্রুপগুলোতে পোস্ট দিল। এই শিক্ষকদের তালিকায় সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেড শহীদ স্যারের নামও ছিল।

বর্তমান সাস্টিয়ানরা বারবার সুশান্তকে বুঝানোর পরও সে শহীদ স্যারকে ছাগু বলে যেতেই থাকে বিভিন্ন থিওরি দাঁড়া করিয়ে। শেষমেষ আজ দুপুরে আরিফ জেবতিক ভাইও পোস্ট দেন শহীদ স্যারকে ছাগু ডাকায় ‘ছাগপোনা’দের আক্রমণে নাকি সুশান্ত’র ফেবু একাউন্ট ব্লক হয়ে গেছে হাবিজাবি। শুধু তা-ই না, আরিফ জেবতিক শাবিপ্রবিকে তুলনা করেন শাহজালাল জামেয়া মাদ্রাসার সাথে!!! একদিকে তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মব্যাবসায়ী ছাগলের পাল, আরেকদিকে মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাংগায় নিজের নাম কামানো পূতিগন্ধময় নষ্ট মস্তিষ্কধারী জ্ঞানপাপী “আত্মস্বীকৃত সুশীল" বুদ্ধুজীবির দল- এই দুই দল আমাদের শাবিপ্রবিকে কুস্তির আখড়া বানিয়ে মল্লযুদ্ধে নামতে চায়। ধর্ম হোক বা মুক্তিযুদ্ধ, মানুষের ইমোশন নিয়ে যারাই খেলতে চায়, তাদেরকেই আমরা শাবি'র ছাত্ররা সমানভাবে ঘৃণা করি। আমরা ধর্মান্ধ বা নাস্তিক কোনটাই না যে আমাদের ধর্মের ইস্যুতে টাইনা নিয়া ছাগুরা ভাস্কর্য্য নির্মাণ বন্ধ করতে পারবে।

আমাদের দেশপ্রেম খাঁটি, এই দেশপ্রেমে 'মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি' অথবা 'জাতীয়তাবাদী' ট্যাগ লাগায় জোরদার করা লাগেনা। তাই ক্যাম্পাসে মুফতে মুক্তিযুদ্ধের বড়ি গিলিয়ে নব্য বুদ্ধুজীবীরা তাদের চ্যালা-চামুন্ডার দল ভারী করতে পারবে এই চিন্তা করলে ভুল করবা বুদ্ধুজীবী জ্ঞানপাপীরা। তাই দুই পক্ষকেই সাবধান করে দিচ্ছি, মারামারি করতে হলে অন্য কোন জায়গা খুইজা নাও। আমরা সাস্টিয়ানরা নিজের বুদ্ধি খাটায় চলি। আমাদের মাঠে আইসা আমাদেরকে ফুটবল বানায়া লাত্থালাত্থি করবা, এই আশায় বইসা থাকলে ভুল করবা।

তুমি যত বড় মাওলানা হও, যত বড় অনলাইন একটিভিস্ট হও অথবা যত বড় সাংবাদিকই হও- আজাইরা তেড়িবেড়ি করতে আসলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবেনা। পরে আবার বইলো না সাস্টের পোলাপাইন বেয়াদ্দব। গোলচত্তরে ভাস্কর্য্য নির্মাণের প্রতিবাদের ছাগলের পালের লাফালাফি নিয়ে লিখেছিলাম। কিন্তু গতকাল থেকে CSE'র শহীদ স্যারকে যেভাবে শিবির প্রমাণ করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে আমু-বেইজড অনলাইন এক্টিভিস্ট জোট, ব্যাপারটা খুবই দৃষ্টিকটু পর্যায়ে চলে গেছেই বলে এটা নিয়েও আজকে লিখতে বাধ্য হলাম। মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশী বলে একটা কথা আছে, এই সুশীলদের অবস্থাও এই মাসীর মত।

পারলে জেনুইন মৌলবাদীদের বেহুদা আস্ফালনের বিরুদ্ধে কথা বল। কে ছাগু আর কে ছাগু না আর কে পেইড ব্লগার অথবা কোন গোষ্ঠীর দালাল টা বুঝার ক্ষমতা আমাদের আছে। আর কাউকে যখন অযথা ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তখনও ভালভাবেই বুঝি আমরা। এর আগেও এই ব্লগার কোরামের ডাক্তার আইজু বুয়েটের আন্দোলনের সময় যেচে-পড়ে এক বুয়েট শিক্ষিকাকে ছাগু প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। এদের কাজকর্মই এরকম।

কারো সামনে গিয়ে তার কাজকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস এদের নাই, বরং এদের চিরশত্রু ছাগুদের মতই অনলাইনে মানুষের মান-ইজ্জত নিয়া টানাটানি করতে পারে শুধু। তাইলে ছাগুদের সাথে এসব ছদ্ম সুশীলের পার্থক্য কি? সব টাইপের প্রোপাগান্ডাবাজের মায়রে বাপ। যারা এভাবে নিজের সাথে মতের মিল না হলেই যারে-তারে যখন-তখন 'ছাগু' ট্যাগ দিয়া বেড়ান, তাদের জন্য উৎসর্গ করলাম। সময় থাকতে ভাল হইয়া যান, নাইলে যেকোন সময় আপনার লুঙ্গিতেও টান পড়তে পারে। বেশি জোস একটা লেখা লিখেছে সুদীপ্ত।

হ্যাটস অফ। আগেই বলছিলাম সাস্ট নিয়া কেউ নিজের স্বার্থে জল ঘোলা করতে আসলে সাস্টিয়ানরা তারে ছাড়ে না সে যে-ই হোক না কেন। পোলাপাইন এক্কেবারে গ্যাংব্যাং কইরা ছাইড়া দিলো। ধর্মরে ইউজ কইরা স্বার্থ আদায়ের দিন যেমন নাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনারে বাজারে বেইচা খাওয়ার দিনও আর নাই। ছাগু-ফাইট করো ভাল কথা, তাই বইলা মনে কইরো না তুমিই বাজারে একমাত্র মাল।

এই লিঙ্কের নোটেই ঢুকলেই বুইঝা যাবেন কত ধানে কত চাল। সাস্টে গুঁতাগুঁতি করতে আসছেন মানেই মৌমাছির চাকে হাত দিছেন। আগেই কইছি সাস্টিয়ানরা কাউরে ছাইড়া কথা কয় না। কথাটা যেন মনে থাকে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.