মুয়াজ্জিনের আবহসঙ্গীতের তালে তালে
যখন ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে শহরের বুকে,
পাখি না স্তন্যপায়ী—এই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব
তুমুলে ওঠে বাদুড়ের;
যখন আকাশময় সিঁদুরের কৌটা
উল্টে দিয়ে সূর্য পায়তারা কষে
অন্যত্র উদিত হবার;
ঠিক তখন, আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
করলো একটি বিশ্বাসদ্রোহী নাগরিক দোয়েল।
যখন মেঘ ফুঁড়ে বের হয় ঘরমুখো
শেষ চিল; যেতে যেতে দেখে নেয়
ক্লান্ত দিন শেষে পৃথিবীর তাপবিকিরণ,
সূতীক্ষ্ণ চোখে;
যখন দিক-ভোলা কাক বিমর্ষভাবে
বসে থাকে রেলিং-এর পরে—দিক খোঁজে,
পান করে দিনের শেষ সোঁদা জল;
তখন আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো
একটি বেঈমান নাগরিক দোয়েল।
আমি বহুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থেকে
দেখি তার আমার দিকে চেয়ে থাকা।
সে গান গায়, নীরবে বা আড়ালে,
যখন আমি চেয়ে থাকি সে সময়টা বাদে।
সেই দিন, সেই বসন্তের বিকালে,
বহুসময় ধরে আমার সঙ্গীতপিপাসু
চোখে চোখ রেখে, হঠাৎ সন্ধ্যার
কিংকর্তব্যবিমূঢ় মেঘের মতই উড়ে
চলে গেল—ইট-গাছের ম্যানগ্রোভ ছেড়ে—
একটি সঙ্গীতবিমুখ নাগরিক দোয়েল।
বসন্ত, ২০০৪
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।