দুবাইয়ে দুই বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য এক বাংলাদেশীকে হত্যার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেওয়া হয়। জানা গেছে, এই মামলায় আগেই তাদের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছিল। রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করে। এ আপিলে তারা হেরে যায়।
এতে বলা হয়েছে, ওই দুই বাংলাদেশীর নামের ইংরেজি প্রথম অক্ষর এমজি (২৭) ও আরএন (২২). তারা বাংলাদেশের কোন জেলার অধিবাসী তা জানা যায়নি। সোমবার দুবাই ক্যাসাশন কোর্টে তাদের আপিলের শুনানি হয়।
সেখানে তারা দাবি তুলে ধরে, আত্মরক্ষার জন্য তারা রহিমুদ্দিন নামে এক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছিল। কিন্তু আদালতে তা প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের রায় পাওয়া এ দুই বংলাদেশী রহিমুদ্দিন নামে এক বাংলাদেশীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাকে প্রলোভিত করে তাকে নিয়ে যায় আলরশিদিয়া এলাকায় একটি বালুময় স্থানে। সেখানে নিয়ে তারা রহিমুদ্দিনের মাথায় রড ও কংক্রিটের ব্লক দিয়ে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে।
এ সময় তারা লাথি মারতে থাকে। রহিমুদ্দিন মারা গেছেন তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাকে প্রহার করতে থাকে। এরপর তারা রহিমুদ্দিনের সিগারেট, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ কেড়ে নেয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়েছে আরএ নামের এক বাংলাদেশীকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।