আমেরিকা আর ভারতের মদদে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলি যে সহিংসতা ও দমন পীড়ন চালাচ্ছে তার উদ্দেশ্য কি ? কারন ছাড়া কোন ঘটনা ঘটেনা,প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনে অবশ্যই একটি কারন থাকে। আমেরিকা আর ভারতের বিশাল বাজারে পরিণত হয়েছি আমরা। নগ্নতা যৌনতা নায়িকা সেলিব্রেটিদের বুক আর পেটের কাপড় সরিয়ে দ্রুত তালে কোমর ঘুটিয়েও যখন দরিদ্রদের ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখা যাচ্ছেনা,রাজনৈতিক দলগুলিই দুর্নীতির শীর্ষস্থান দখলকারী তা যখন লুকানো যাচ্ছেনা,রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, ঋন খেলাপী অর্থপাচারসহ বড় রাজিৈনতক দলগুলির সকল অপকর্ম যখন প্রকাশ হতে থাকে তখন জনগনের দৃষ্টিভংগি মনন ছলা কলার মাধ্যমে অন্যমুখী করার চেষ্টায় সরকারী দল বিরোধী দল নির্বাচনী নাটক মঞ্চায়ন করছে। পুরো দেশবাশীর কাছে নির্বাচনী নাটক এমন স্বার্থকভাবে মঞ্চায়ন করা হচ্ছে মানুষ ভুলেই যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিই দুর্নীতির শীর্ষস্থান দখলকারী,মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। আসলে কি তাই ! আমাদের দেশে সুষ্ঠ নির্বাচনও হয়েছে অসুষ্ঠ নির্বচন ও হয়েছে কিšু— বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণশীর্ণ ঘরে বসবাসকারী মানুষের অসহনীয় কষ্টকর জীবনের অবসান হয়নি।
বরং কর্মকর্তা ও ধনী বড়লোক শ্রেনীর ধন সম্পদ রক্ষা এবং বৃদ্ধিতে আইন পাশ হয়েছে। আমাদের মিডিয়া,প্রচার মাধ্যমের কর্মীরাও ছন্নছাড়া শয়তান মানবধিকর লংঘনকারী আমেরিকা ও ভারতের মদদে ঘুরে ফিরে ধনী বড়লোক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা করছে,তারাও হরতাল সহিংসতা আর দমন পীড়নের খবর প্রচারে গলদঘর্ম হচ্ছে। আমাদের মিডিয়া কর্মীরা কেনো বেশী বেশী বার বার বলছেন না যে রাজনৈতিক দলগুলিই দুর্নীতির শীর্ষস্থান দখলকারী, আমাদের দেশে সুষ্ঠ নির্বাচনও হয়েছে অসুষ্ঠ নির্বচন ও হয়েছে কিšু— বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণশীর্ণ ঘরে বসবাসকারী মানুষের অসহনীয় কষ্টকর জীবনের অবসান হয়নি। বরং কর্মকর্তা ও ধনী বড়লোক শ্রেনীর ধন সম্পদ রক্ষা এবং বৃদ্ধিতে আইন পাশ হয়েছে। এদেশতো শুধু সরকারী দল আর বিরোধী দলের নয়।
পরিকল্পিতভাবে দেশের তৃণমুল পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে মিথ্যা এবং বড়লেকের স্বার্থরক্ষাকারী বিবেধ তৈরী করছে সরকার এবং বিরোধী দল। কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে গত ৪২ বছরে তার স্থায়ী ব্যবস্থা হয়নি। কারন সম্পদ আর ক্ষমতা যেকোন মুল্যে আকড়ে ধরে রাখতে চায় সরকারী আর বিরোধী দল। মানুষের দু:খ দুর্দশার জন্য আপনাদের এত ব্যাকুলতা তাহলে সংবিধানে কেনো সংযুক্ত করছেন না যে বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণশীর্ন ঘরে বসবাসকারী সকল মানুষের পাকাঘর স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও প্রত্যেক পরিবারকে মাসে দশ হাজর টাকা ভাতা এবং নিরাপত্তা প্রদান হবে রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য। মানুষের দু:খ দুর্দশার জন্য আপনাদের এত ব্যাকুলতা তাহলে কেনো ছন্নছাড়া শয়তান মানবধিকর লংঘনকারী আমেরিকা ও ভারতের মদদে ঘুরে ফিরে ধনী বড়লোক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা করছেন,কেনো দেশ বিরোধী চুক্তি করছেন ! মানুষের দু:খ দুর্দশার জন্য আপনাদের এত ব্যাকুলতা তাহলে কেনো বলছেননা যে আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে।
কেনো বলছেননা যে আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই প্রত্যেক নাগরিককে ৩ মাসের সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক বানানোর দায়িত্ব সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে দেওয়া হবে। জনগনের একজন হয়ে আমরা কি সরকার এবং বিরোধী দলের কাছে জানার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারি মানুষের দু:খ দুর্দশার জন্য আপনাদের এত মিথ্যা ব্যাকুলতা মিথ্যা ছলনা কেনো ! ছলা কল ছলনা বাদ দিয়ে সত্য বলুন। ভোটের জন্য আপেক্ষিক অংগিকার আর ঘুম পাড়ানী গান তৈয়ার না করে বলুন,হে দেশের বেশীরভাগ মানুষ আপনারা গরীব আপনাদের ভোট আমরা যারা আওয়ামী লীগ,বিএনপি,জামায়াত, জাতীয় পাটি করি আমাদেরকে দেবেন না। গরীবের ভালো করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা শুধু গরীবকে শোষন আর নির্যাতন করতে পারি।
গরীবের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ধনী বড়লোকের ধন সম্পদ রক্ষা ও বৃদ্ধিতে আইন পাশ করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।