কাজী জাফরকে এরশাদের বহিষ্কার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
এতে বলা হয়, প্রেসিডিয়ামের ক্ষমতাকে লঙ্ঘন করে একক সিদ্ধান্তে এরশাদ তথাকথিত সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়েছেন।
‘এরশাদের লজ্জাজনক আচরণ দলের ঐক্য ও সংহতিকে বিনষ্ট করেছে’ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, “বিএনপির সঙ্গে এক বছর ধরে আসন ভাগাভাগির সংলাপ করে দলটির কাছে দুইবার প্রার্থী তালিকা পাঠিয়েছেন। ”
এর পরেও ‘সর্বদলীয় সরকারে’ এরশাদের যোগ দেয়া প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, “রাজনীতিতে এ ধরনের লজ্জাজনক ঘটনার কোনো নজির আছে বলে আমার জানা নেই। ”
এরশাদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলের যেসব নেতাদের বহিষ্কার করেছেন তাদের তালিকাও বিবৃতিতে তুলে ধরেন কাজী জাফর।
“একথা অনস্বীকার্য যে, বারবার আপনার (এরশাদ) রাজনৈতিক ডিগবাজী, আদর্শহীনতা এবং সমস্ত দলকে আপনার আজ্ঞাবহে পরিণত করে ক্ষমতা ত্যাগের ২৩ বছরের মধ্যে আমাদের প্রাণপ্রিয় দল ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারেনি। ”
গঠনতন্ত্রের ৩৭ ধারা মোতাবেক দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণটি অবিলম্বে জাতীয় কাউন্সিলের বিশেষ অধিবেশনে গৃহীত হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, “গঠনতন্ত্রের ৩৭ (৪) ধারা মোতাবেক আপনার অপসারণপূর্বক ৩৭ (৫) ধারায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে জাতীয় পার্টির সুমহান মর্যাদা, ঐক্য ও সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হবে। ”
এরশাদকে উদ্দেশ্য করে কাজী জাফর বলেন, “আপনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে থাকার সকল প্রকার অধিকার হারিয়েছেন। আপনাকে দলে সকল পর্যায়ে কোনো প্রকার অংশগ্রহণ করা হইতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।