রোববার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য সৈয়দ আমিনুল করিম।
তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিটার্নজমার মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে। ”
রোববার এনবিআরের পক্ষ থেকে সময় বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। মন্ত্রী অনুমোদন দেয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান আমিনুল।
এ দফায় কতদিন সময় বাড়ানো হবে- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তা রোববারই জানানো হবে।
দুই সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত হতে পারে। ”
এছাড়া ই-টিআইএন চালু করা নিয়ে জটিলতাও রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর অন্যতম কারণ বলে জানান আমিনুল করিম।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতিবছর পুরো সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে আয়কর বিবরণী জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে প্রতিবারই সময় বাড়ানো হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন সংগঠনের অনুরোধে রিটার্ন জমা দেয়ার সময় প্রথম দফায় এক মাস বাড়ানো হয়েছিল।
কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন জমা না পড়ায় দ্বিতীয় দফায় ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
ঈদ ও পূজার ছুটি এবং হজের কারণে করদাতাদের বিবরণী জমা দিতে সমস্যা হওয়ায় ওই দু’দফা সময় বাড়িয়েছিল এনবিআর।
আয়কর বিবরণী জমা দেয়ার সময় বাড়াতে বৃহস্পতিবারও অনুরোধ জানায় এফবিসিসিআই।
এক বিবৃতিতে চলতি নভেম্বর মাসে হরতাল, অবরোধ ও রাজনতৈকি সহিংসতার কারণে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম করতে পারেনি বলে যুক্তি তুলে ধরা হয়।
রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে, দেশের ৩৫ লাখ কর সনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) থাকলেও নিয়মিত বিবরণী জমা দেন প্রায় ১৭ লাখ মানুষ।
এর মধ্যে কর দিয়ে থাকেন ১০ লাখ।
গত ১৬ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরে আয়োজিত আয়কর মেলায় এক হাজার ১১৭ কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৯ টাকার রাজস্ব আদায় হয়। গত বছরের চেয়ে সোয়া তিনশ কোটি টাকা বেশি।
গত বছর কর মেলায় ৯৭ হাজার করদাতা কর পরিশোধ করেন, যাতে সরকারের রাজস্ব আদায় হয় ৮৩৮ কোটি টাকা।
সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ৪৮ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা আয়কর বাবদ আসবে বলে ধরা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।