নবীন উত্থান ( চতুর্দশ পদী কবিতা)
প্রাণ শক্তি উদ্দীপনা সর্বজয়ী তারা।
বিজয় ছিনিয়ে নেয় অপার শক্তিতে।
জড়সরো বয়োবৃদ্ধ হও শুচিশুদ্ধ।
অহংকার দেখিয়োনা হার মেনে নাও।
ছেড়ে দিতে হবে স্থান নতুনের করে।
দারুণ অবুঝ যারা মানে না যে বাধা।
নবীন প্রবীন দ্বন্দ্বে ;জয় কচি স্কন্ধে।
কুসংস্কার কুপ্রথা হোক ভেঙে খান খান।
নবীনেরা জয় করে উত্তাল সাগর।
প্রবীনেরা হেরে যায় বিষন্ন বাতাসে।
জরায় খরায় দাহে প্রবীন গরল।
বিজয়ের কেতন ঐ নবীন জনের।
করো উল্লাসে নবীন বিজয়ী সর্বদা।
পরাস্ত প্রবীন সব নতমুন্ড তারা।
হে ঐশ্বর্য (চতুর্দশপদী কবিতা)
যদি ভেবে থাকো এ জীবন দীন হীন,
তাহলে বলবো তোমায় ,ছোট্ট জীবনে;
তুমি সুখের পরশ দাও ,দয়াবতী;
ছোট্ট এই জীবন কেটে যাবে নিমিষে।
কিছুটা প্রাপ্তী হয়ে আমায় ঋণী করো ,
সমৃদ্ধ করো নিঃস্ব বিষাদী কালোয়;
যদি ভেবে থাকো নিজেকে ঐশ্বর্য,
আমাকে সমৃদ্ধ করো তোমার আলোয়।
যদি ভাবো আমায় বন্য অসভ্য কেউ
আমাকে সভ্য করো হে ,যাদুর ছোঁয়ায়।
কিছু গভীর নিদ্রা কিছুটা তুমিময়,
আমাকে ভরে দিবে অপার মুগ্ধতায়;
অন্য কিছু নয় শুধু তোমাকেই চাই
তোমায় পেলে সুখের স্বর্গ আমি পাই।
নস্টালজিয়া (সনেট)
জ্বরের অনুভবে তোমায় মনে পড়ে
শীতের তীব্রতায় মন তোমাতে থাকে;
নির্জনে তুমিহীনতা তীব্র হয়ে ঝরে
প্রাণ ভ্রমরা প্রাণে তোমায় শুধু ডাকে।
কী করছো কারে লয়ে ,ভাবে না এ মন
সুখে আছো কিনা প্রশ্ন মনে সদা ভাবী
কষ্ট দিয়েছি কষ্ট পেয়েছি প্রেমে ,মন
এ নিষ্ঠুর খেলায় এ নিয়তি ,নিত্য দাবী।
ভালবেসে যদি ক্ষমা করো অভাগারে
মায়াবতী সুখের স্মৃতি কেমনে ভুলি !
বেদনা দিলেম ছড়িয়ে আঁকাশটারে
কাছে টেনে নিলেম কষ্ট সকল ফেলি।
ইশক এমনই হয় অথৈ পাথার;
প্রিয়া বিহনে মনে শুধুই হাহাকার।
--------------------------------
সকল শ্রেনীর পাঠক যেন পড়ে আরাম পায় সে বিবেচনায় সনেট লিখলাম।
উৎসর্গ :আগমনি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।