আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হামলাকারী বিএমপি-জামাত জোটকে আড়ালের অপচেষ্টায় মতিচুর

সত্য আর মিথ্যার মধ্যে নিরপেক্ষতা নয়

দেশব্যাপি যে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে তার লক্ষ্য খুব সরল সহজ, মানুষ মেরে, দেশ অচল করে সরকারকে হঠানো। জোট নেত্রীতো গুণ্ডা ভাড়া করে বোমা মেরে মানুষ মেরে খালাস, কিন্তু বাকি কাজ করতে এগিয়ে আসছে ঐতিহাসিকভাবে সিআইএর একান্তু অনুগত মিডিয়া। কিভাবে তার দু-একেটা নমুনা দিচ্ছি- ১. স্টাণ্ডার্ড গার্মেন্টেসে আগুনের খবরে জামাতি কানেকশান আড়াল করার চেষ্টা নিচের ছবিতে লক্ষ্য করুন হেডিং এ আর ১ম পাতায় ছাপা মূল খবরে বলা হয়েছে মাইকে গুজব ছড়িয়ে আগুন লাগানোর কথা। কথা সত্য তবে ১টি শব্দ কম ছাপা হয়েছে- পুরো সত্যটা হল পবিত্র মসজিদের মাইক থেকে বারবার ঘোষনা করা হয়েছে 'গার্মেন্টেসে শ্রমিক মারা হয়েছে' যা ছিল, বলাই বাহুল্য, মিথ্যা। আমরা অতিতের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সাইদির মুখ চাদেঁ দেখার গুজব ছড়ানো হয়েছিল একইরকমভাবে মাঝরাতে, মসজিদের মাইক ব্যবহার করে।

তারপর কৌতুহল নিয়ে রাজ্যের লোক জড়ো হলে তাদের মধ্য থেকে সুযোগ সন্ধানি জামাতিরা গুলি করে থানার পুলিশ মারে। ফটিকছড়ি তে আওয়ামিলীগের মিছিলে নৃশংসতম হামলায় একইরকমভাবে মসজিদের মাইক থেকে মিথ্যা প্রচার করা হয় যে, পুলিশ ও আওয়ামিলীগ মাদ্রাসার বড় হুজুরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সেটিও ছিল ডাহা মিথ্যা। ফটিকছড়ির মতোন সম্প্রতি গত ৪ মাসে শুধুমাত্র সিতাকুল্ডেই ২০০ আওয়ামি সমর্থক/নেতার বাড়িতে হামলা হয়েছে যেগুলোতে জামতি ট্রেডমার্ক গানপাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। তো এই ধারাবাহিকতায় মসজিদের মাইক না বলে শুধু মাত্র মাইকে গুজব রটানো হয়েছে বলা কি জামাতি কানেকশান আড়াল করার চেষ্টা না ? আরো লক্ষনীয় বলা হয়েছে আশেপাশের গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা আগুন দিয়েছে।

কিন্তু মিডিয়া কিভাবে জানলো শ্রমিকরা এইরকম ভয়াবহ আগুন লাগিয়েছে ? শ্রমিকরা অনেক সময় মুহুর্তের আক্রোশে ভাঙচুর করে, কিন্তু এমন পরিকল্পিত, ভয়াবহ আগুন কি তারা তাদের কর্মস্থলে লাগতে পারে ? তারাই যদি আগুন দিয়ে থাকে তবে সেটার স্বপক্ষে কি যুক্তি/তথ্য মিডিয়ার কাছে আছে তা কিন্তু বলা হয়নি ! কিন্তু ঢালাওভাবে শ্রমিকদের দোষ দিয়ে কি তবে আসল সন্ত্রাসী গোষ্টি / জামাতেদেরকে আড়াল করা হল? ২. বোমা হামলার কারা করছে সেটা একবারো বলছে না মিডিয়া যেখানে দুগ্ধপোষ্য শিশুও জানে কারা পেট্রল বোমা মারছে, কারা বোমা হামলা, গাড়ি পোড়ানোর ভিডিও করে প্রচার করছে, সেখানে নিরস্ত্র মানুষের উপর এই ভয়াবহ সশস্ত্র আক্রমন যারা করছে তা নিয়ে মিডিয়া আশ্চর্য রকম নিরব! যেনবা সরকার দাবি না মানলে সাধারন মানুষের উপর বোমা মারা সম্পূর্ন স্বাভাবিক একটা ব্যপার। অথচ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের ৭ম অনুচ্ছেদ অনুযায়ি বারম্বার যদি কোন সিভিলিয়ান গোষ্টির উপর সংগঠিত হামলা হয় সেটাই মানবতা বিরোধী অপরাধ। * ব্যখ্যা করে বললে, যুদ্ধেও ২ পক্ষ পরস্পরের উপর হামলা করবে, মারবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্ততু নিরস্ত্র সাধারন মানুষের উপর যদি হামলা করা হয়, তবে সেটা যুদ্ধাপরাধ। যদি ধরেই নিই বাংলাদেশে এখন দুই জোট যুদ্দ করছে, তাহলেও তো সাধারন মানুষের উপর পেট্রোল বোমা হামলা করা মানে যুদ্ধপরাধ! অথচ এইসসব অপরাধীদের কে মিডিয়া সম্পূর্ণ আড়াল করে যাচ্ছে। ৩. সন্ত্রাসের লক্ষ্য পুরণে মিডিয়ার সাহায়্যের হাত এইসব হামলার আসল উদ্দেশ্য হল সরকারের পতন ঘটানো।

কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় মানুষ খুন করে সরকার পতন ঘটানো কি আইন সম্মত ? আজ যদি কোন আন্ত: জেলা ডাকাত দল একই রকম দাবী করে প্রকাশ্যে বাস ট্রাকে ব্রাশ ফায়ার করা শুরু করে , তবে কি তাদের দাবীও মেনে নিতে হবে ? ড: কামালের কথামতো দেশকে ঝন্ঝাট থেকে বাচাঁতে ? সেই দাবী যদি কেউ করে তবে কি তারা সন্ত্রাসীদেরই সহায়ক হিসেবে কাজ করছে না ? মিডিয়া জরিপ করে বের করছে মানুষ মনে করে এই হামলার দায় সরকার এড়াতে পারে না। বেশ তারা জরিপ করতে খুব পছন্দ করেন, করুন। কিন্তু যারা হামলা করছে তাদের দায় না্ই ? সেই জারিপ কেন তারা করে না ? মানুষ কি বিএনপি জামাত জোটের হরতাল সমর্থন করছে ? তাই যদি হয় তাহলে ককটেল / পেট্রল বোমা মেরে সেই ছবি নিজ উদ্যোগে প্রচার করতে হচ্ছে কেন ? *"crime against humanity" means any of the following acts when committed as part of a widespread or systematic attack directed against any civilian population

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.