আগামী বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পেলেও প্রথমার্ধে আবাহনী ভালো খেলতে পারেনি। তাদের এলেমেলো ফুটবলের বিপরীতে অনেক উজ্জ্বল ছিল ফেনী সকার।
বিরতির আগে আবাহনীর বলার মতো সুযোগ একটাই। অষ্টম মিনিটে মিডফিল্ডার তৌহিদুল আলমের কর্নার থেকে ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার ইউকো সাম্বনিকের হেড ক্রস বার ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়ে হতাশ করে আবাহনীর সমর্থকদের।
বিরতির পর অবশ্য গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠে আবাহনী। ৫৩ মিনিটে গোলের দেখাও পেয়ে যায়। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে গোলটি করেন ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু।
৭১ মিনিটে একটুর জন্য ব্যবধান বাড়াতে পারেনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি। ঘানার ডিফেন্ডার সামাদ ইউসুফের লব তৌহিদ ফেনী সকারের গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে তুলে দিলেও গোল লাইন থেকে বল ফিরিয়ে দলকে নিশ্চিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার আলাউদ্দিন।
ফেনী সকারের দুর্ভাগ্য, ৮৬ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারেনি। ডিফেন্ডার আলী হোসেনের ফ্রি-কিক থেকে বেনিনের স্ট্রাইকার ওয়াসিও ওলাদিকপোর হেড ক্রস বারে লেগে ফিরে এলে হতাশ হতে হয় তাদের।
ইনজুরি সময়ে মিডফিল্ডার আব্দুল বাতেন কোমলের থ্রু ধরে প্লেসিং শটে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন ঘানার স্ট্রাইকার ওসই মরিসন।
এবারের ফেডারেশন কাপে এটা মরিসনের পঞ্চম গোল। উদ্বোধনী ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মরিসন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রর হাইতির স্ট্রাইকার সনি নর্দের সঙ্গে এখন যুগ্মভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
জিতলেও দলের খেলায় সন্তুষ্ট নন আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত কোচ অমলেশ সেন। খেলা শেষে তিনি বলেন, “প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের দল গোছানো ফুটবল খেলেছে। তবে আমাদের রক্ষণভাগ ও মাঝমাঠে কিছুটা দুর্বলতা ছিল। পরের ম্যাচে এই দুটো জায়গায় আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে। ”
ফেনী সকারের গাম্বিয়ান কোচ ওমর সিসে জয়ের জন্য প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতে কার্পণ্য করেননি।
তিনি বলেন, “আবাহনী যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে। তবে আমরা যে দু-একটি সুযোগ পেয়েছি তা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতে পারতো। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।