আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু জাতীয়তাবাদী কুকুর!!!! ১৮+

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

: তা ভাই, হরতাল করা কি ভালো? : দেখেন আওয়ামী লীগ আমাদের সময় ১৫০ দিন করছে আরেকবার ৮০ দিন করছে আমরা তো গত ২০ বছরে এত দিন হরতালই করি নাই। (মূল কথা হইলো আওয়ামী লীগ যেহেতু হরতাল করছে, তাই বিএনপির এটা জায়েজ আছে। ) : তা ভাই, জামাত শিবির রাজাকারদের সাথে আপনাদের এতো পিরিত কিসের? : ভাই, আপনে একটা ছাগল। ৯৬ তে যে আমু আর সাজেদা জামাতের সাথে নাস্তা করছে সেইটা দেখেন না? তারাও তো তাদের সাথে হ্যান্ড শ্যাক করছে, বুকে জড়ায় ধরছে, আঁতাতের নির্বাচন করার জন্য জোট বানাইতে গেছিলো।

তো আমরা করলে দোষ? (মূল কথা, আওয়ামী লীগ গন্ধ শুকছে তাইলে আমাদের সেইটা খাইতেই হবে। আওয়ামী লীগ যদি একটু খারাপ করে তাইলে আমরা পুরা খারাপ করলে তাতে কোনো দোষ নাই। এইটা ওহী নাযিল হইছে বেজীর ওপর) : তা ভাই, হরতাল অবরোধের নামে আপনেরা মানুষ জ্বালাইতেছেন কেন? : আপনে তো দেখি প্রজন্মের ব্যবসায়ী শাহবাগী আর কুত্তা লীগের মতো কথা বলতেছেন। কিছু দিন আগে হিন্দু পুড়াইছে তো এই আওয়ামীলীগই। আর জ্বলন্ত বাসে মানুষ পুড়ানোর রেকর্ড আমাগো না, লীগেরই আছে।

আমরা শান্তিপূর্ন হরতাল করি যার বড় প্রমান আমাগো কুনো নেতা রাস্তায় পাইবেন না। সবাই হরতাল ডাক দিয়া ঘরে গিয়া বইসা থাকে। যা হরতাল পালন করে তা জন গন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে করে। (মূল কথা হইলো বাঁশের কেল্লার লাইক দেয়া ছাত্রদলের ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিছিলো যেখানে ১৯ জন পুড়ায় মারছে যেটা তাদের বিজয়ের লক্ষন। ছবিটা দেখেন, বান্দর পুলাপান এইটা কপি মাইরা রাখছে আবার এই খবরের লিংকে দেখা গেলো চলন্ত বাসে ককটেল মারতে গিয়া এক পোলা ধরা খায়।

মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে এরে নাকি ককটেইল মারতে বলছে মিরপুরের ছাত্রদলের নেতা বিল্লাল। ধরা পরার পর মাইর গুতা খাওন থিকা শুরু কইরা সবকিছুই সাংবাদিকের সামনে হইছে এবং মিথ্যা বা শিখায় পড়াইয়া জোর কইরা বলার কুনো চান্স দেখি না। আবার সাংবাদিকদের সামনে শুধু ককটেল না, কেমনে ফাটায় সেটার প্রশিক্ষনও দেয় এরা, অথচ নাম দেয় অন্যের। ) : তো ভাই, আপনেরা ক্ষমতায় আসলে রাজাকারের বিচার করবেন নাকি বেজীর সাথে রাজাকার শিরোমনিদের গ্যাংব্যাং বিটিভিতে লাইভ দেখাইবেন? : আপনে মিয়া আসলেই বদমাইস, ভাদা। না হইলে আমাদের মা এর সমান নেত্রীর নামে এভাবে কথা বলতে পারেন না।

আর রাজাকার, কে বলেছে তারা রাজাকার! গো.আ. নিজামী যদি রাজাকার হয় তাইলে শেখ হাসিনার বেয়াই ফরিদপুরের মোশাররফ, সাজেদা চৌধুরানী, মখা আরও বড় রাজাকার। তাগো বিচার আগে করমু। এবং সেই বিচার হইবো আন্তার্জাতিক মানের কাঁচের মতো স্বচ্ছ সুন্দর ফিন ফিনা শাড়ীর মতো (যেইটা বেজী পড়ে আর কি!!!) (মূল কথা হইলো ইন্জ্ঞিনিয়ার মোশাররফের নামে আজ পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রমানাদি দিতে পারে নাই শুধু মাত্র বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বইতে একটা মাত্র লাইনের কোটেশন ছাড়া। যদিও মুক্তিযু্দ্ধের বিশাল গো+বেষক পর্ন স্টার চটি পিয়াল এই দিকটা নিয়া কোনো দিন কথা বলেননাই আর ফরিদপুর বাসী হওয়ার জন্য আমি বাপ দাদাদের কাছে শুনেছিলাম তার নামের কু কর্মের কথা। আমিও মানি সে রাজাকার।

কিন্তু কথা হইলো আপনে প্রথমে কার বিচার আগে করবেন মাথার না লেন্জ্ঞার? এরশাদ শিকদার জেলে নেওনের পর কেও কিন্তু তখন খোজ করে নাই তার দলের সবচেয়ে নীচের জন্তুটার দিকে। তবে এইটা ঠিক হাসিনা মোশাররফ মামাকে বাচানোর জন্যই একটা কড়া ডায়লগ দিয়া পুরা যুদ্ধপরাধীর বিচারকে মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের বিচারে কনভার্ট করেন। তবুও তারে এইটুকু সাধুবাদ দেওন যায় যে রাজাকারের শিরোমনি ওরফে বেজীর গুপন রাতের ভাতার গু.আজমরে জেলে ঢুকানোর আর অন্যান্য বদেমাইশগুলানরে ফাঁসির রায় শুনানোর। যেই বেজি নিজের জামাইরে কে মারছে তার বিচার করতে পারে না সেই বেজি করবে বিচার রাজাকারের? এত বড় ঘুমপাড়ানী মাসিপিসি তাগো অশিক্ষিত পেডোফাইল, স্যাডিস্ট এবং ছুটোলোক গালিবাজ নেতাদেরকেই শুনাক, আমরা শুনতে চাই না) ___________________________________________ আসলে যুক্তি দিয়া কি হবে? তার চেয়ে আসেন একটা গল্প বলি। পরিবারের সর্বস্ব টাকা জমিয়ে একটা ফ্লাট কিনে ঢাকার সেগুনবাগিচায়।

ছোট পরিবার বিধায় সুন্দর সেটে যায় এই সেই ছোট্ট ফ্লাট টায়। বড় ছেলে নতুন চাকুরী পেয়েছে, বেতন তো ভালোই পায়। বৃদ্ধ বাবা ভাবলেন ছেলেটাকে বিয়ে দেয়া যাক। খুব বড় চাকুরী করে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে এরকম টার্গেটের দিকে ছুটিয়ে শুধু শুধু কেন ছেলেটা যৌবনটাকে এভাবে শেষ করে দেবে! এর চেয়ে সংসারটা শুরু করে পছন্দের মানুষটির সঙ্গে! ধুম ধাম করে বিয়ে হয়। ভদ্র সুবোদ ছেলেটার দিকে সবারই নজর ছিলো, ভালোবাসতো বলেই ধুম ধাম করে টানা ১ সপ্তাহ অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়।

সেদিন থেকে শুরু হয় সুখের একটা সংসার। সপ্তাহ ভর অফিসের চাপাচাপি আর রাতে মিলে টুনাটুনির সংসার ভালোই চলছিলো। কিন্তু কাল হলো সমস্যা। হরতাল তো ছিলো না, অবরোধ। অবরোধ মানে ঢাকা অবরুদ্ধ বাইরের জেলা থেকে।

ঢাকার ভেতরে তো কিছু হবে না। গতকাল মালিবাগ মারামারি লাগলেও আজকে শান্ত। রিক্সায় করে ফোনে কথা বলে যাচ্ছিলো সেই ছেলেটা। জানে না মালিবাগ রাস্তার মোড়ে ঢোকা ট্রাকে অকস্মাৎ একটা পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে বিএনপির ছায়ায় থাকা শিবিরের জঙ্গীরা। ট্রাক চালকের গায়ে ছিটকে পড়ে গরম তেল, পুড়তে থাকে দাউ দাউ করে।

ট্রাক চালক অস হ্য যন্ত্রনায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে চলন্ত অবস্হায় রোড ডিভাইডারের উপরে উঠিয়ে একটা রিক্সাকে চাপা দেয়। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, দু' সপ্তাহ আগে বিয়ে করা ছেলেটা তখন তার স্ত্রীর সাথে কথা বলছিলো। সে মুহুর্তেই চাপা পড়ে। বাসায় এখনও জানে না মারা গেছে। বড় বোনটা শুধু জানে।

একটু পর ভোর হলে লাশটা আসবে। যে বাবা জানতো তার বাবা সামান্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে অথবা যে স্ত্রী তার প্রিয়তমার জন্য না খে্যে আছে সে দেখবে একটা বিকৃত লাশ। সমস্যা কি? আমার পরিবারের এখনও কারো কিছু হয় নি। আমি বিদেশ থাকি, আমার তো কিছু হয় নাই। দেশে ১৬ কোটি মানুষ।

ছুটোবেলায় ফার্মেগেটে ভীড়ের মধ্যে দাড়িয়ে খুব আশা করতাম একটা এটম বোমা ফেলে ৪-৫ কোটি মারা গেলে দেশে একটা শৃংখলা আসতো। আবার চিন্তা করতাম এই ৪-৫ কোটির মধ্যে আমি বা আমার পরিবারের কেউ নাই তো? ক্ষমতায় যেই আসুক, একটা এটম বোমা ফাটানো দরকার, বাংলাদেশীদের মৃত্যু হওয়া দরকার। শুধু এই জন্যই যে আমরা এতদিনে এমন কিছু হায়েনা শয়তানের জন্ম দিয়েছি যারা আমাদের সামনেই আমাদের ছোট বোনটাকে টেনে নিয়ে ধর্ষন করে তার ভিডিও করছে, আমার সন্তানকে টাকার বিনিময়ে হাইজ্যাক করে কয়েক টুকরো করে ফেলছে, আমার ট্যাক্সের টাকা লুটে খাবে বলে আমাকে পেট্রোলবোমা দিয়ে জ্বালিয়ে মারছে, অথচ আমরা এসব দেখে এদেরকেই ভোট দিচ্ছি!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.