আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা - ইন্টারেস্টিং ফাইনডিং .....



আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা নিয়ে সময়ের সাক্ষী অনুসন্ধান, পর্ব-২ via সময়ের সাক্ষী - ShomoyerShakkhi.com নীচের খবর গুলো মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। বুঝতে পারবেন কাদের হাতে ঘটছে বাসে অগ্নি সংযোগ, কক্টেল নিক্ষেপ এবং নিরিহ মানুষ হত্যা। পড়ার সময় বাসের নামটি খেয়াল করুনঃ *** ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১- একটি বাস সার্ভিসের চালক-হেলপারের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা দেড় ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী জানান, সকালে একটি বাসের শ্রমিকরা ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এ জন্য ছাত্রীরা সড়ক অবরোধ করে।

আমি তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে অবরোধ তুলে দিয়েছি। পরিবহন সার্ভিসের নাম ছিল -‪#‎বিহঙ্গ‬#- *** ৩ মার্চ, ২০১৩ – সেদিন জামাতের হরতাল ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে শেওড়াপাড়ায় ১টি ও মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় আল হেলাল হাসপাতালের সামনে অপর একটি ককটেলবিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দবির উদ্দিন বলেন, সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী --#বিহঙ্গ#-- পরিবহনের বাস থেকে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। *** ৬ জুলাই, ২০১৩ - খালেদা জিয়ার সরকারি গাড়িকে ধাক্কা দেয় একটি বাস।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংসদ ভবন এলাকায় কর্তব্যরত ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাক্ট আর্মস সেলিম খান। -#বিহঙ্গ#- পরিবহনের বাস ছিল এটি। *** ২৮ নভেম্বর, ২০১৩ – ছিল বিএনপির অবরোধ। সেদিন শাহবাগে বাসে আগুন দেয়া হয়। সাংবাদিক, আইনজীবীসহ দগ্ধ হন ১৮ জন।

পরের দিন দগ্ধ যুবক নাহিদ মোড়ল (২২) মারা যান। এইখানেও সেই একই -#বিহঙ্গ#- পরিবহনের বাস। এখন প্রশ্ন হলো এই বিহঙ্গ পরিবহনের নাম কাকতালীয় ভাবে বারে বারে আসছে কেন? কেই বা এর মালিক? খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই বিহঙ্গ পরিবহনের মালিক হচ্ছেন পংকজ দেবনাথ। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তাকে আওয়ামী লীগ বরিশাল-০৪ আসন থেকে অবৈধ প্রহসনের নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বাসের নামটি আর মালিকের নাম ও পরিচয় মনে রাখুন।

আপনাকে শারলক হোমস হতে হবে না। বুঝতে পারবেন কারা, কেন, কিভাবে দেশে নৈরাজ্যের জন্ম দিচ্ছে। এর আগে ঢাকা শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির বাসার সামনে কক্টেল ফাটানো হয়েছে। হামলাকারিদের কাউকে পুলিশ ধরেছে বলে শুনা যায়নি। কিন্তু বিএনপির বয়স্ক ৫ নেতাকে জেলে নিয়েছে পুলিশ।

তারা এখনো কক্টেল মামলায় জেলেই আছেন। নেতাদের জেলে ঢুকানোর পড়ে শেখ হাসিনার সন্তান সজীব ওয়াজেদ ঘোষণা দিয়েছিলেন আরও নেতা গ্রেপ্তার হবে। উনি দাবী করেছিলেন সেই ৫ নেতাদের গ্রেপ্তারের পরেই কক্টেল হামলা নাকি কমে গেছে!! জার্মানির রাষ্ট্রদূত মাত্র ক'দিন আগে বিএনপির সেই ৫ নেতাকে মুক্তি দেবার সরাসরি আহবান জানিয়েছেন। আহ্বান জানানোর দিন রাত্রে খোদ জার্মানির রাষ্ট্রদুতের বাসাতেই কক্টেল হামলা হয়েছে!! উপরের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করুন। ঠাণ্ডা মাথায় পড়লে এটুক নিশ্চিত হবেন যে, দেশ বিরোধী শক্তিই ঢাকা শহরের বাসে আগুন দিচ্ছে, কক্টেল ফাটাচ্ছে।

তাদের লক্ষ্য একটাই। বিরোধী দলগুলোর সফল আন্দোলনকে মানুষের মনে বিতর্কিত করে তোলা। বিএনপির ন্যায্য দাবীর প্রতি সমর্থন যে কেউ দিলে, সে বিদেশী হলেও তাকে ভয় দেখানো। আর এভাবেই তারা তাদের তাবেদার হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রাখার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চাইছে। অশুভ শক্তির কালো হাত ভেঙ্গে দিন।

দেশের বিপন্ন হয়ে ওঠা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসুন। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।