নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা থেকে আজ শুক্রবার ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছে ১২টি বিভিন্ন ধরনের ককটেল, তিনটি ল্যাপটপ, প্রচুর জিহাদি বই ও মাসিক চাঁদা আদায়ের রসিদ পাওয়া গেছে।
সকাল নয়টার দিকে কল্যাণপুরের ১৫ শহীদ মিনার রোডে পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। আটক হওয়া ১০ জন হলেন ইমন সরকার, রবিউল, ইব্রাহিম খলিল, আবদুল্লাহ আল মামুন, শাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, লিয়াকত, কুতুব শিকদার, শরীফুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান।
পুলিশের দাবি, আটক হওয়া ব্যক্তিরা ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
কল্যাণপুরের এ বাসাটি শিবিরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ।
মিরপুর বিভাগীয় পুলিশের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদের ভাষ্য, এই বাসা থেকে এসব তত্পরতা চলত—এমন সংবাদ পেয়ে তিন-চার দিন ধরে জায়গাটি নজরদারিতে রাখা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আজ ভোর পাঁচটা থেকে এখানে অভিযান চালানো হয়।
উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে, এখান থেকে পুরো ঢাকায় শিবিরের নাশকতা কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা হতো। একই সঙ্গে সদস্য সংগ্রহ, চাঁদা তোলা, ককটেল তৈরি ও তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
বাড়ির অন্য ভাড়াটেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস আগে ফ্ল্যাটটি মাসিক ১৭ হাজার টাকায় ভাড়া নেন আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েক যুবক। বাড়ির মালিক আবদুল কবির এই বাসা ভাড়া দিয়ে বনানী এলাকায় বসবাস করেন। বাড়িওয়ালা আবদুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশি অভিযানের পর বাড়ির তত্ত্বাবধানকারী পালিয়ে গেছেন।
আটক হওয়া ১০ জনকে সকাল ১০টার দিকে মিরপুর থানায় নেওয়া হয়েছে।
এদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।