‘ঈশ্বর, রক্ষা করো!’ বিশ্বকাপে নিজেদের গ্রুপ নিয়ে ইংলিশ গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া ঠিক এমনই। গতকাল শুক্রবার ঠিক হয়ে গেছে বিশ্বকাপ মঞ্চের লড়াই-সূচি। যে সূচি আতঙ্কে নীল করে দিয়েছে ইংলিশদের। বিশ্বকাপ শুরুর দুই দিনের মাথায়ই যে তাদের খেলতে হবে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালির সঙ্গে। ব্রাজিলের মানাউসের আর্দ্র পরিবেশে ইতালির বিপক্ষে ম্যাচটা রীতিমতো অগ্নিপরীক্ষা হয়েই দেখা দিয়েছে।
নিজেদের গ্রুপটিকে ইতিমধ্যেই ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে তারা।
ডি ফর ডেথ! এবারের ‘ডি’ গ্রুপটি আসলেই যেন গ্রুপ অব ডেথ। ইংল্যান্ড ও ইতালির সঙ্গে আছে উরুগুয়ে ও কোস্টারিকা। কোস্টারিকাকে আপাতত হিসাবের বাইরে রাখলেও এই গ্রুপ থেকে ইতালি, ইংল্যান্ড ও উরুগুয়ে—এই তিন দলই পরের পর্বে যাওয়ার দাবিদার। কিন্তু যাবে মাত্র দুটি দল।
একটু এদিক-ওদিক হলেই পা হড়কানোর আশঙ্কা।
ইতালির বিপক্ষে ‘ফিফটি-ফিফটি’ ম্যাচটি নিয়ে অস্থির ইংলিশ মিডিয়া। উরুগুয়ের কথাও কি নেই তাদের আতঙ্কিত হূদয়ে!
‘মিরর’ আরও মজার একটা শিরোনাম করেছে তাদের পত্রিকায়। শিরোনামটি একেবারে সোজা বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘গেছিরে!’ এমন শিরোনামের নিচে কোচ রয় হজসনের একটা চিন্তিত মুখের ছবি ছেপে ক্যাপশন দিয়েছে, ‘তাঁর চিন্তিত মুখই বলে দিচ্ছে, “সব শেষ”। ’
গার্ডিয়ান অবশ্য উরুগুয়ে ও কোস্টারিকাকে নিয়েই কোচ হজসনকে বেশি সবাধানতা অবলম্বন করতে বলেছে।
পত্রিকাটি গ্রুপ বিশ্লেষণে লিখেছে, খুব সম্ভবত কোস্টারিকা ও উরুগুয়ের কাছ থেকে ইংল্যান্ডকে এমন প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হবে. যা হজসন স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না। ’ ভাবুন তো একবার, এই গ্রুপ থেকে যদি পরের রাউন্ডের টিকিট পায় উরুগুয়ে আর কোস্টারিকা? প্রথম রাউন্ডেই ইতালি-ইংল্যান্ড বাদ, ভাবা যায়!
ইতালি ইংল্যান্ডকে অনেকবারই বিশ্ব ফুটবলে কয়েকটি ক্ষত উপহার দিয়েছে। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের টিকিট এই ইতালির কারণেই পায়নি ইংল্যান্ড। সর্বশেষ গত ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনালেও ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিয়েছিল ইতালি।
ইংল্যান্ড কোচ রয় হজসনও চিন্তিত, ‘এটা কঠিন গ্রুপ।
এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের গ্রুপে আছে ইতালি ও উরুগুয়ে। এর মানে বিশ্বের দুই সেরা দলের সঙ্গে লড়তে হবে আমাদের। ’ হজসনের চেয়েও বাড়তি শঙ্কিত মনে হচ্ছে ইতালির কোচ সিজারে প্রানদেল্লিকে, ‘এটা মৃত্যুকূপ। আমরা নিজেদের নিয়ে শঙ্কিত।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
তবে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মৃত্যুকূপে থাকলেও দলটির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদীও হয়েছেন অনেকে। ‘মিররে’ই ড্যারেন লুইস লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ড দল অভিজ্ঞ ও সৃষ্টিশীল। বিশ্বকাপে গ্রুপে যে দলই প্রতিপক্ষ হয়ে আসুক, ভয়ের কোনো কারণ নেই। ’
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।