ইকোনোমিস্ট
মৌলানা মওদুদীকে শেখ হাসিনার সরকার ফাঁসী দেয়ন, দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার, ১৯৫৩ সালে, কোন রাজনৈতিক কারণে নয়: হত্যাকান্ডের জন্য, উনি লাহোরে আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হত্যাকান্ড চালিয়েছিলেন; কারণ, আহমেদিয়ারা 'সঠিক মুসলমান নন'; 'যারা সঠিক মুসলামন নন, তাদের মেরে ফেলতে হবে', জামাতের ছোট্ট ফরমুলা; জেনারেল আজম খান মৌলনাকে রশির গোড়া অবধি নিয়ে গিয়েছিলেন, সাথে মৌলানার সেক্রেটারীও ঝুলার কথা ছিল।
১৯৭১ সালের পুরা হত্যাকান্ডের জন্য জামাতের রাজাকারেরা দায়ী, ৬৩ হাজার গ্রামের প্রতি বাড়ীতে পাকিদের নিয়ে গেছিল এই নরপশু রাজাকারেরা; এবং সেদিনের বাংগালীরা ১৬ ডিসেম্বর ৫৫ হাজার রাজাকারকে 'মৃত্যুদন্ড' দিয়েছিলেন: ১৬ ডিসেম্বরে যাকে পেয়েছে, তাকেই মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল; কিন্তু সাপের বাচ্ছারা প্রায় সবগুলো গর্তে ঢুকে গিয়েছিল; আর গোলাম আজম পাজম ইত্যাদি তাদের দেশ পাকিস্তানে গিয়ে প্রাণ বাঁচায়েছে; মৃত্যুদন্ড কোথায়ও রহিত করা হয়নি।
আজ, অকারণে শেখ হাসিনার সরকার এই মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তদের কোর্টে গিয়ে মিত্যা সাফাই গাওয়ার সুযোগ দিয়েছে: ওদের ৫৫ হাজারকে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৭১ এর জেনারেশন মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল, এবং তা বলবৎ আছে।
মওদুদী ও তার সেক্রেটারীকে ফাঁসী দিয়ে শুরু হয়েছিল, এখন কাদের মোল্লার হবে, তারপর একে একে সবাইকে সে পথে যেতে হবে: এই জামাতের রাজনীতি, এটাই অবদান, এটাই প্রাপ্য; সব খুনিকেই ঝুলতে হয়; বিশেষ করে বাংগালীরা ভালুকের মত, ঘুমিয়ে থাকে, জাগলে কারো রক্ষা নাই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।