সামুতে সেফ হবার জন্য সংগ্রাম করছি! দোয়া করবেন! (আমার অনেক দিনের শখ ডায়রি লিখার। কোনদিনও সেটা লিখি নাই। তবে ২০১৩ সালে কিছু আলতু ফালতু কাজ করার প্ল্যান করছি। প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখবো ডাইরির মতো করে। এইখানে যা লিখবো, সবই হইতেছে আজাইরা টাইপ জিনিস।
যা মনে আসে তাই লিখবো। এবং যেটা একবার লিখবো, সেটা কাটবো না। তাই এই লিখায় প্রচুর পরিমাণ বানান ভুল পাওয়া যাবে। স্কুলে একটা প্রোগ্রাম হইতো , যেমন খুশি তেমন সাজো। এই লিখাগুলাও ওইরকম আর কি, যা খুশি তাই লিখি টাইপ।
)
আমার বন্ধু ফাহিদ। ফাহিদ মানেই হইলো উৎসব। হুটহাট প্ল্যান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা এবং সাথে হাবিজাবি খাওয়াদাওয়া। আজকে অবশ্য ভদ্র ছিলাম, আজেবাজে কিছু করি নাই। অস্লীলতামুক্ত গল্পগুজুব করছি, সাইকেল চালাইছি আস্তে আস্তে, রিক্সার পিছু পিছু।
হোটেলে গিয়া আর সববারের মতো অনেক অনেক অর্ডার দেই নাই, মাত্র একটা মোগলাই পরোটা খাইছি, দুই ডিমআলা। মোগলাই পরোটা সাধারণত অর্ডার দিলে বানায় দেয়, বানাইতে ৫/১০ মিনিট সময় লাগে। সেই সময়টুকু অপচয় না করে আমরা চপ খাইলাম, আলুর চপ, ভিতরে একটা ডিমের এক ভাগের আট ভাগ অংশ দেয়া, মানুষ এতো কিপটা ক্যান?যাই হউক, মোগলাই পরোটা চলে আসছে এইদিকে, বিদেশিদের মতো কাটা চামচ দিয়া খাওয়া শুরু করলাম। এবং সাথে সাথে ডিসিশন নিলাম দুইটা। ১,কাঁটাবনে, অষ্টব্যাঞ্জনের পাশের এই ছোটো হোটেলটায় আর জীবনেও আসুম না।
এবং ২ , দুই ডিমআলা মোগলাই অপেক্ষা একডিম মোগলাই অধিক সুস্বাদু।
এরপর সময় এখন চা খাওয়ার। আশেপাশে ভালো টং দোকান নাই,নোংরা। নোংরা সেইটা কোন সমস্যা না, সমস্যা হইতেছে আমরা যে কোন অচেনা টং দোকানে চা খাওয়ার আগে একটু ফিল্ড ওয়ার্ক করি। মানে ওই দোকানের কাস্টমারদের কাপের দিকে তাকায়া দেখি ওই টং দোকান কেমুন চা বানায়।
লিকার কম, কনডেন্স মিল্ক বেশি – এই টাইপ চা অসহ্য লাগে।
যাই হউক,আমরা গেলাম আরেক রেস্টুরেন্টে । নতুন মাত্র খুলছে। পাঁচছয় জন ওয়েটার এবং পুরা রেস্টুরেন্টে কেবল আমরাই একমাত্র কাস্টমার। সবাই ধুমধাম সালাম দিতেছে, স্মার্ট স্মার্ট শার্ট-প্যান্ট-টাই পরা মানুষগুলা স্যার স্যার করতেছে, আমরা শরমে পইরে গেলাম।
চা অর্ডার দিলাম। বলে চা নাই,কফি আছে। উইঠা চলে যাওয়া উচিত, কিন্তু মায়ায় পরে গেসি,এতো বার স্যার স্যার বলছে। কি আর করা। তবে কফি ভালু লাগছে।
রিকমেনডেড। ও ভালো কথা, রেস্টুরেন্টের নাম মনে পরছে, চায়না কিচেন। কারণ এই স্ট্যাটাস লেখার আগেই দেখি ফাহিদ এই রেস্টুরেন্ট নিয়া স্ট্যাটাস আপডেট করে দিসে। এবং সেখানে দাবি করসে, কখনো কখনো বিয়ার দাওয়াত খাওয়া অপেক্ষা কফি পান করা উত্তম।
এরপর গেলাম ভ্রমণসঙ্গীতে।
এখানে গেলেই খালি কিনতে ইচ্ছা করে, এতো এতো জোশ জোশ জিনিস!তবে এসব বাদেও, ভ্রমণসঙ্গীতে কিছু বস বস মানুষ আড্ডা দেয়, সেটা আমরা আক্ষরিক অর্থেই মুগ্ধ হইয়া শুনতেই থাকি শুনতেই থাকি।
সামারিঃ সত্যি সত্যি জীবনটা খুব ছোটো, প্রতিটা সেকেন্ড সবাই ফুর্তিতে থাকুক, প্রার্থনা করি। শুভ রাত্রি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।