সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী মধ্যপাড়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান সুমন (১২)। বাবা আনোয়ার হোসেন একজন দিনমজুর। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সুমন সবার বড়। সংসারে অভাবের কারণে পড়াশোনা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ফকিরতলা এলাকার একটি কারখানায় কাজ করত সে।
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বহুলী বাজার থেকে চুল কাটিয়ে বাড়ি ফিরছিল সুমন।
এ সময় সে ওই বাজার এলাকায় অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। পেছন থেকে একটি গুলি এসে তার গলা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার সুমনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, একটি ছাপরাঘরের দরজায় বসে মা আসরুন বেগম প্রলাপ বকছেন। বাবা উঠানে বসে রয়েছেন।
প্রলাপের মধ্যে আসরুন বলেন, ‘সকালে কইলাম, ভাত খাইয়া চুল কাটাতে যা। ভাত না খায়া ছওলাডা চইল্যা গেল। রান্না করা ভাত তার পেটে গেল না। গুলি কইরা মাইর্যা ফেলাইল। ’
সুমনের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অভাবের কারণে লেখাপড়া বাদ দিয়া সুমনরে কাজে দিছিলাম।
প্রত্যেক দিন আমাকে এক শ টাকা করে দিত। আমার দিনমজুরির টাকা আর ছেলের আয় দিয়ে সংসার চলত। ’
সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম বলেন, অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলেও পুলিশ শুধু কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। চায়নিজ রাইফেলের গুলি ছোড়েনি। অবরোধকারীদের ছোড়া গুলিতে সুমন মারা গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় সুমনের বাবা আনোয়ার হত্যা মামলা করেছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।