জীবনে প্রাণ আসুক। প্রতিটা মুহূর্তকে আমরা সুন্দর করে তুলি।
ম্যালেরিয়া থেকে সাবধান। ম্যালেরিয়ার লক্ষণ দেখামাত্র দ্রুত চিকিৎসা নিন। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করুন, কীটনাশকযুক্ত মশারি ব্যবহার করুন এবং ম্যালেরিয়া মুক্ত থাকুন।
অনিয়মিত বা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা ম্যালেরিয়ার লক্ষণ। এছাড়া মারাত্মক ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে জ্বরের সাথে রোগীর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করে অস্বাভাকিক আচরণ করা, বারবার খিঁচুনি হওয়া, অত্যধিক দুর্বলতা, বারবার বমি হওয়া, শিশুর ক্ষেত্রে মায়ের দুধ অথবা অন্য খাবার খেতে না পারাÑএসব ম্যালেরিয়ার লক্ষণ।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে কাছাকাছি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বাস্থ্যসেবিকার সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন। কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
এনোফিলিস জাতীয় স্ত্রী মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ছড়ায়।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, ডোবা, নালা-নর্দমা, পুকুর ও গর্ত পরিষ্কার রাখতে হবে। সন্ধ্যার পর মশারি টাঙিয়ে মশার কামড় থেকে নিরাপদে থাকতে হবে।
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। তবে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৩ জেলার ৭০টি উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। প্রতি বছর ম্যালেরিয়াজনিত অসুস্থতা এবং মৃত্যুর প্রায় ৯৮% সংঘটিত হয় ওইসব জেলায়।
বাংলাদেশের ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকাগুলো হচ্ছে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চলের হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর এবং কুড়িগ্রাম জেলা।
যেকোনো রোগে ওষুধের চেয়ে প্রতিরোধ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ উপায়। তাই আমাদের মশার কামড় থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করা উচিত। এক্ষেত্রে বিছানায় মশারি ব্যবহার করা (মশা নিধনকারী কীটনাশকে চুবানো মশারি ব্যবহার করা উত্তম), মশা তাড়াবার ধোঁয়া, স্প্রে, মশার কয়েল ব্যবহার (দীর্ঘদিন একনাগাড়ে ব্যবহার করা ভালো নয়) করতে হবে। রাতের বেলায় বিশেষ করে ঘরের বাইরে গেলে হাত-পা ঢাকা থাকে এমন কাপড় পরা এবং সম্ভব হলে ঘরের দরজা-জানালায় মশার প্রতিবন্ধক জাল ব্যবহার করা উচিত।
একটি সুসংবাদ আছে। সম্প্রতি ল্যানসেট জার্নালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ে কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সীমিত লোকবল আর সম্পদ নিয়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিস্ময়কর উন্নতি করেছে। অন্য দেশের জন্য তা শিক্ষণীয়।
আসুন ম্যালেরিয়া বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা সচেষ্ট থাকি।
১১ ডিসেম্বর, বেলা আড়াইটা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।