আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ব্লাড কাউন্টেস' -এলিজাবেথ বিটোরিকে

যতই পড়িবেন ততই জানিবেন।
এলিজাবেথ বিটোরিকে জন্ম ১৫৬০ সালের ৭ আগস্ট হাঙ্গেরির বিখ্যাত বিটোরি পরিবারে। পিতার নাম জর্জ বিটোরি। তিনি ছিলেন স্টিফেন বিটোরির ভাই। এই স্টিফেন বিটোরি ছিলেন একাধারে একজন নবেল লরিয়েট, কিং অব পোল্যান্ড এবং ডিউক অব ট্রান্সেলভানি।

তিনি এরকম একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। তিনি তার কৃতকর্মের কারণে ইতিহাসের অন্যতম। কিন্তু কেন? অনেকে ভাবছেন মহান কোন কাজের জন্য বা মহান কোন আবিষ্কারের জন্য। যারা এগুলো ভাবছেন তারা সম্পূর্ণ ভুল ভাবছেন বা পোষ্টের শিরনামকে ফান হিসেবে ধরে নিয়েছেন। এই মহিষী নারী কেন এত বিখ্যাত তা জানলে আপনি হয়তো বাস্তবে কোন হরর মুভির চিত্র আপনার চোখের সামনে ঘুরবে।

এলিজাবেথ বিটোরিকে ধরা হয় পৃথিবীর ইতিহাসের সব থেকে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার। এলিজাবেথকে ব্লাড কাউন্টেস বা রক্তপিপাসু পিশাচিনী বলা হয়। ফ্রান্স নোডিজডের সঙ্গে ১৫৭৫ সালের ৮ মে এই এলিজাবেথ বিটোরির বিয়ে হয়। এলিজাবেথের স্বামী ১৫৭৮ সালে হাঙ্গেরির সেনাপতি নিযুক্ত হন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে ব্যবসা ও শাসনকাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন এলিজাবেথ।

তখন থেকেই চড়া বেতনে এলিজাবেথের ওখানে কাজ করত কুমারী গৃহকর্মী। এর মধ্যেই রাজ্যের মানুষ দেখল এখানে যারাই চাকরি নিয়ে ঢুকে, তারা আর বের হয় না। অথচ প্রাসাদে প্রায় নিয়মিত লোক নেওয়া হচ্ছে। আর এই রহস্যময়তার কারণে লোকমুখে নানা গল্প ছড়াতে থাকে। এসব গল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গল্প ছিল, এলিজাবেথ ত্বক ভালো রাখার জন্য কুমারী মেয়েদের রক্ত দিয়ে গোসল করেন।

রক্ত নেওয়ার আগে কেটে ফেলা হয় মেয়েদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আর তাদের আর্তচিৎকার ছিল এলিজাবেথের আনন্দ উপভোগের উপকরণ ইত্যাদি। এ গল্প চর্চা থাকলেও সামনাসামনি কিছু বলার সাহস কারও ছিল না। এর মধ্যেই কয়েকজন জীবিত মেয়ে বেরিয়ে আসে ওখান থেকে। আর তাদের কাছ থেকে জানা যায় লোমহর্ষক কাহিনী। এতদিন লোকে যা গুজব হিসেবে জানত, সেটা আরও ডালপালা মেলল।

ফলে দারুণ এক রহস্যময়তার সঙ্গেই দীর্ঘ ২৫ বছর পেরিয়ে যায়। এক সময় এ রহস্যময়তার কথা কিং মেথিয়াস-২ এর কান পর্যন্ত পেঁৗছে যায়। তিনি তখন এক দল তদন্তকারী পাঠান এলিজাবেথের ক্যাসেলে। উদ্ধার করা হয় একজন মৃত কুমারী, একজন অর্ধমৃত এবং আরেকজন বন্দী কুমারীকে। জীবিত মেয়েদের কাছ থেকে জানা যায়, লোমহর্ষক কাহিনী।

এতদিন লোকে যা গুজব হিসেবে জানত, আসলে তা-ই সঠিক প্রমাণিত হয়। ধারণা করা হয়, এলিজাবেথ খুন করেছেন ৬৪০-এরও বেশি কুমারীকে। সামাজিক অবস্থানের জন্য তার বিচার না হলেও বাকি জীবন গৃহবন্দী করে রাখা হয় এলিজাবেথকে। ১৬১৪ সালে চার বছরের গৃহবন্দী অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এলিজাবেথর বিচারের এখানেও ক্ষমতার একটা ব্যাপার পরিলক্ষিত হয়।

তথ্য সূত্র- অন্তরজাল। কেউ আগে থকে জানলে আমার কিছু করার নাই
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।