'আল্লাহ আমার শইলডা জইল্ল্যা যাইতাছে, আমার গায়ে বরফ দ্যাও গো মা। আমি মইরা যাইতাছি মা।' অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এভাবে চিৎকার করছিল বাসের সহযোগী তারেক (১৪)। তার এমন আর্তনাদে গতকাল ভারী হয়ে উঠে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের পরিবেশ। তার কান্না সহ্য করতে না পেরে আশপাশে রোগীদের স্বজনরাও ছুটে যান এক নজর দেখতে। চিকিৎসকরা জানান, পেট্রলবোমায় তারেকের শরীরের ১৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তার বাবা জানান, বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুরের তিন নম্বর সড়কের মোড়ে ইস্টার্ন গার্মেন্টের একটি স্টাফ বাসে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পেট্রলবোমা ছুড়ে। বাসচালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল তারেক। এ সময় তার গায়ে আগুন ধরে যায়। তার মুখ, গলাসহ শরীরের বেশকিছু অংশ পুড়ে যায়। আগুনে বাসটিও পুড়ে গেছে। একমাত্র ছেলের এই করুণ পরিণতি দেখে পরিবারের সদস্যরাও দিশাহারা। তারেকের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। তবে মা-বাবার সঙ্গে জয়দেবপুরের ওয়ারলেস গেট পালের মাঠ এলাকায় থাকে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে বড়।
এদিকে পুলিশের ছররা গুলিতে আহত ১১ বছরের শিশু শান্ত ইসলামের চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে ফকিরাপুলে খালার বাসায় মায়ের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র শান্ত। গত শুক্রবার বাবা মো. সোবহানের জন্য ভাত নিয়ে মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুলের সামনে গিয়েছিল সে। সেখানে বাবা সোবহান চায়ের দোকানদারি করেন। ফেরার পথে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে ছররা গুলিতে আহত হয় শান্ত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।