আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনুশীলন গ্রন্থের মোড়কে নিষিদ্ধ গাইড বইয়েø

অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নোট-গাইড বই নিষিদ্ধ। কিন্তু খুলনা মহানগরীসহ জেলার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের এক প্রকার জোর করে নোট-গাইড বই কিনতে ও পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কর্মীরা রীতিমতো স্কুল চলাকালীন শ্রেণীকক্ষে ঢুকে গাইড-নোটবই চড়া দামে কিনতে শিক্ষার্থীদের প্রলুব্ধ করছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা পাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সব অন্যায় আবদার স্বাচ্ছন্দ্যে মেনে নিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীসহ ৯টি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নোট-গাইড ও ব্যাকরণ বই বিক্রি করছে। খুলনা মহানগরীর হেলাতলা মার্কেটের নুর লাইব্রেরি, বুক ফেয়ার, বুক সোসাইটির মতো বড় বড় দোকানসহ প্রায় সব দোকানেই নোট-গাইড বই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ, নোট-গাইড ও ব্যাকরণ বইয়ে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছামতো দাম বসিয়ে শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছে। বইগুলোর ছাপা ও কাগজ অত্যন্ত নিম্নমানের। তা সত্ত্বেও চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে। ফলে শিশু-কিশোররা মেধাশূন্য ও সৃজনশীল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

খুলনা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা-এর বিভাগীয় কর্মকর্তা টিএম জাকির হোসেন অভিযোগ স্বীকার করেন। তবে খুলনার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে না কীভাবে প্রশ্ন আসবে। আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে 'সহায়ক বই বা অনুশীলন গ্রন্থ' তুলে দিয়ে উপকারই করছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.