এ পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ১৮ দলের নেতাকর্মীরা অবরোধ পালনকালে কোনো ভাংচুর ও সহিংস ঘটনা ঘটায়নি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের কোনো বাধাও দেয়নি।
এরাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজিয়ে রাখতে সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে বুধবার রাতে আলোচনা শেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
এ ছাড়া যে কোন রাজনৈতিক দল বা দূর্বৃত্ত নাশকতা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করলে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করতেও ঐক্যমত হন দুদলের নেতারা।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছালাম বলেন, “জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন হয় এমন কর্মসূচি বিএনপি কখনও করে নাই, ভবিষ্যতেও করবে না। ”
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, “আমরা অন্যের মতামতকেও সন্মান করি, তবে কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপকে নয়।
”
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, “সারাদেশের শান্তি শৃংখলা রক্ষায় সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগ একটি মডেল হয়ে থাকবে। ”
গত ১৩ ডিসেম্বর উপজেলার জামালপুর বাজারে জামাত-শিবিরের হামলায় গুরুতর আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া খান বিপ্লব এখনও চিকিৎসাধীন।
এই হামলার পর উপজেলা সদরে বিএনপি নেতা ডা. মইনুল হাসান সাদিকের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলামের দোকান ও যুবদল সভাপতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একটেবিলে বসানোর উদ্যোগ নেয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি মাহমুদুল হক মিলনের সভাপতিত্বে বুধবার রাতের এই ৩ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় অংশ নেন এই দুটি দল ও তাদের সঙ্গে যুক্ত যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
এছাড়াও বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংবাদিক তাজুল ইসলাম রেজা, সাদুল্লাপুর বণিক সমিতির সভাপতি শফিউল স্বপন, ব্যবসায়ী সামসুজোহা প্রামাণিক রাঙ্গা ও বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।