রোববারের এ গণবিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা ‘ইংলাক নিপাত যাক’ স্লোগান দিয়ে বাঁশী বাজিয়ে ব্যাংককের চারপাশের এলাকাগুলোতে জড়ো হয় এবং অন্তত ৪ টি জায়গায় মঞ্চ স্থাপন করে। এতে কয়েকটি জায়গায় বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল।
ইংলাকের বাসভবন ঘেরাও করে তার পদত্যাগ দাবি করে শ’শ’ বিক্ষোভকারী। বর্তমানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক এ মুহূর্তে ব্যাংককে নেই। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তার দলীয় শিবির পরিদর্শনে রয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের নেতা সুদেপ থাগসুবান বলেছেন, রোববারের এ বিক্ষোভ ইংলাক ও তার সরকারের ওপর চাপ বাড়াবে বলেই তিনি মনে করেন। বিক্ষোভে আরো লোকসমাগম হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সরকার-বিরোধীদের কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক এ মাসের শুরুর দিকে সঙ্কট নিরসনে আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন। এ নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি।
কিন্তু প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্র্যাট পার্টি এ নির্বাচন বয়কট করবে বলে জানিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের নেতা থাগসুবান নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি গণপরিষদ চাইছেন।
ইংলাক ২০১১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন। কিন কিন্তু তিনি তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত ও নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কথায় দেশ পরিচালনা করছেন অভিযোগ করছে বিরোধীরা।
সরকারবিরোধী ক্যাবল টিভি ‘ব্লু স্কাই’ তে বিক্ষোভকারীদের নেতা থাগসুবান বলেন, “ইংলাক কি ভাবছেন জানি না। কিন্তু আমি এখন নিশ্চিভাবেই জানি যে, সব সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ সবাই এটি উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, সরকারের বিরুদ্ধে গণজাগরণ ঘটছে।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।