তবে কর্মকর্তারা বলছেন, ৮৯ শতাংশ নির্বাচনী কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবেই ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ৬০ লাখ ভোটার ভোট দিতে পারেনি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ওদিকে, প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বেও ভোটগ্রহণের কোনো বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানিয়েছে সরকার। ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে দুপুর ৩ টায়।
তবে রোববার ফল ঘোষণা হচ্ছে না।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রোববার থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এ নির্বাচন রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত দেশটিকে আরো গভীর সংকটে ফেলে দেবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ না নেয়ায় এতে সরকারি দলের বিজয়ের সম্ভাবনা শতভাগ নিশ্চিত।
প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগ, অনির্বাচিত ‘গণপরিষদের’ অধীনে নির্বাচন আয়োজন ও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করে সরকার বিরোধীরা।
বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে এ নির্বাচনের ডাক দেন ইংলাক। তবে বিক্ষোভকারীরা এ নির্বাচন রুখে দেয়ার চেষ্টা চালায়।
ভোটের দিন নির্বাচন প্রতিরোধ ও ব্যালট বাক্স বিতরণে বাধা দেয়ার জন্য মধ্য ব্যাংককের রাতচাথেউই জেলা অফিস ঘেরাও করে রাখে কয়েকশ বিক্ষোভকারী।
তাদেরই একজন নিপোন কেউইসোক বলেন, “আমরা নির্বাচন বন্ধ করছি না। আমরা এটাকে স্থগিত করছি।
আমাদের একটি নির্বাচন প্রয়োজন। তবে প্রথম প্রয়োজন সংস্কার। ”
এর আগে গত সপ্তাহে আগাম ভোটগ্রহণ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের ৫০টি ভোট কেন্দ্রর মধ্যে ৪৯টিই অবরুদ্ধ করে রাখায় মোট ভোটারের এক-পঞ্চমাংশও ভোট দিতে পারেননি। এর পরও নির্বাচন স্থগিত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক।
নির্বাচনের ফলাফল রোববারের প্রকাশ না করার কারণ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের ফলাফল নিয়ে কমিশনারদের অভিযোগ ও চ্যালেঞ্জের বন্যার জবাব দিতে হবে।
কমিশনের মহাসচিব পুচং নুত্রাওয়ং রয়টার্সকে বলেন, “ফল ঘোষণার প্রতিটি পদক্ষেপে প্রচুর বাধা-বিপত্তি রয়েছে। আমরা চাই না এই নির্বাচন একটি রক্তক্ষয়ী নির্বাচনে পরিণত হোক। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।