মঙ্গলবার যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর সঙ্গে সেতু ভবনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূত এ কথা বলেন।
তার মতে, এই সংলাপ দশম নাকি একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য হবে সেটি বড় কথা নয়। দলগুলোকেই এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। মূল বিষয় হলো এই সংকট থেকে উত্তরণে একটি উপায় বের করে আনা।
বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র দুই প্রধান দলের মধ্যে সংলাপের তাগিদ দিয়ে আসছে।
আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দ্বিগুণ গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরুর আহ্বান জানায়।
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এরই মধ্যে দাবি আদায়ে তারা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে, প্রাণ হারিয়েছে অনেকেই।
অন্যদিকে বিরোধীদলের অনেক নেতাকর্মীও গ্রেপ্তার হয়েছেন এই সময়ে।
মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় দুই দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হলেও কোনো সমাধান ছাড়াই তা থেমে যায়।
ড্যান মজীনা বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখনই দুই দলের মধ্যে সংলাপের প্রয়োজনটা বেশি। এর মধ্য দিয়ে এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব যা বাংলাদেশের জনগণের চোখে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।
যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সহিংসতা নিয়েও নিজের দেশের অবস্থান পরিস্কার করেন তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ সহিংসতাকে সমর্থন করে না। এটি গণতান্ত্রিক ধারার সঙ্গে যায় না, অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল যেন নির্বিঘ্নে তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারে সে বিষয়েও সরকারের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন তিনি।
বিরোধী দলের টানা অবরোধে ব্যবসা খাতে এর প্রভাব প্রসঙ্গে মজীনা বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে ব্যবসা খাত নিয়ে ভাবতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে।
“তবে বাংলাদেশের এই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি সম্ভব নয়। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।