সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি
আমাদের সমাজে ধর্ষককে ঘৃণা করা হয় না বললেই চলে। অথচ দোষী না হয়েও ধর্ষিতাকে সবার ঘৃণার শিকার হতে হয়। বিয়ের সময় এটার প্রমাণ পাওয়া যায়। একটা পুরুষ দশটা ধর্ষণ করলেও বিয়ের সময় এটা কোন দোষ হিসাবে বিবেচিত হয় না। কিন্তু নারী সে যতই ভালো হোক না কেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার সাথে সাথেই তার সব অর্জন মুছে যায়।
কোন পুরুষই জীবন সঙ্গিনী হিসাবে তাকে কামনা করে না। তারপরেও কোন পুরুষ যদি সেই মিয়ে বিয়ে করতে চায়, সমাজের চোখে সেই পুরুষও সবার ঘৃণার পাত্র বনে যায়। ফলে কোন নারী ধর্ষনের শিকার হলেও সেটা গোপন রাখতে চায়।
পর্ণোগ্রাফি আসক্তি
বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক তরুন-তরুনি আছে যারা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। স্বাভাবিকভাবেই এই দৃশ্যগুলো বাস্তবে রুপ দেওয়ার চেস্টা তার মাথায় আসবে।
মেয়েরা কিন্তু শারিরিক সম্পর্ক থেকে বঁচে থাকার চেস্টা করে যেহেতু কোন ধরনের অঘটন ঘটে গেলে তার ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। পুরুষদের সেই সমস্যা নেই। তাই কিছু সাইকো যেভাবেই হোক নিজের শারিরিক চাহিদা মেটানোর চেস্টা করে থাকে।
গ্রাম্য মাতাব্বর
গ্রাম-গন্জে যে ধর্ষনগুলো হয়, তার অধিকাংশের জন্য আমি দাবি করব মাতাব্বরদেরকে। প্রায় ক্ষেত্রেই তারা ধর্ষককে বাঁচিয়ে উল্টা নির্যাতিতাকেই দোষারোপ করার চেষ্টা করে।
কাছের মানুষ
কাছের মানুষ দ্বারা অনেক সময় মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়। এমন কিছু মানুষই তাদের ধর্ষণ করে যাদের কথা বললে কেউ বিশ্বাষ করবে না। আমাদের এক ক্লাসমেট আত্নহত্যা করার পর জানা গিয়েছিল এরকম এক মর্মান্তিক কাহিনী।
সবচেয়ে বড় কারণ হল বিচার দির্ঘায়িত হওয়া। এর ফলে অভিযুক্তরা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ পায় এবং অন্যদের মনেও এই ভয় থাকে না যে ধর্ষণ করলে আমার এই শাস্তি হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।