একটি ধর্ষনের গল্প স্বপ্নডাঙ্গা গ্রামে ভোর হল, ভোর এল গায়ের এক প্রান্তের বিস্তীর্ন পাট-খেতে- নিস্তব্ধ-নীথর, পাখির কূজন এ জায়গাটিতে এখনও শোনা যাচ্ছে না, শুধু,দূরের বাড়িটিতে একটি মোরগ যেন জানান দিচ্ছে-'গরীবের প্রেম শুধু রাতের বিছানায়, আর সারাটা দিন শুধুই কাজের-শুধুই সৃষ্টিশীলতার-সবুজের; ওখানে সূর্যোদয়ের আগেই নারীরা ঘরকান্নায় মেতেছে, দুধের শিশুরা গোয়াল-ঘরের বাছুরের সাথে মিলিয়ে স্বারগাম করছে, কিশোরেরা গত সন্ধ্যায় মা কর্তৃক তুলে রাখা- বানরের অদৃশ্য লেজ পশ্চাৎদেশে লাগাচ্ছে, পুরুষেরা মনে-মনে দিনের কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছে; এ যেন চিরদিনের পরিচিত কোন গায়ের দিনের শুরু, কিন্তু এখানে... এই পাট-খেতের সংকীর্ণ ফাঁকা জায়গাটিতে,পড়ে আছে একটি বোরকা, ঢেকে রেখেছে একটি নগ্ন শরীর, মেয়েটি পাশের গায়ের, গত রাতে, তিনটি ধর্মকুক্কুর ওকে ধর্মান্তরিত করে ফেলে গেছে এই নির্জনে, -গায়ের মসজিদের ইমামের ছেলে নিজামী, মাদ্রাসার নব্য হাফেজ দেলোয়ার,আর রাজাকার গোলাম আযমের পায়খানার দারোয়ান আমিনী, রাতের সে পাশবিকতা ৫২-এর মত ছিলো না, ৭১-এর মত ছিল না, ৯১-এর মত ছিল না, কারন, পশুরাও বিবর্তনে বিশ্বাসী- পাশবিকতার বিবর্তন,আর বিবর্তন নোংরামীর-বর্বরতার, শুধু ধর্মীয়-অন্ধতার বিবর্তনই ওরা চায় না। মেয়েটি লাল-পেড়ে শাড়ি পরে ছিল, সমবয়সি ছেলেদের বুকের মাপে তৈরি ছিল ব্লাউজটি- যেন শুধুই বউ-সাজার ছেলে-খেলার বহিঃপ্রকাশ, ওর বয়স মাত্র এগারো- তবু কুকুরেরা থামে নি, তিন জোড়া হাত ছিড়ে নিয়েছে সে শাড়ি, ওর বুকে মাংসের সন্ধান না পেয়ে- কামোড়ে-কামোড়ে সেখানে এনে দিয়েছে যৌবন, আর... তারপর তিনটি কামুক যন্ত্রের ধর্ম উদ্ধারের পর, ওরা 'বিসমিল্লাহ' বলে- সে শরীরে পরিয়ে দিয়েছে পুন্যময় বোরকা! দু'দিন পর নাতনীর ছেড়া শাড়িটি হাতে নিয়ে- পাগলিনীর প্রায় কাঁদলেন দিদিমা, গত বৈশাখে,পুরানো পানের কৌটায় জমানো- আড়াই'শ টাকায় কিনে দেয়া সে শাড়িটি- অবশেষে ভাঁজ করে রাখলেন জোড়াতালি দেয়া থলেতে, কেউ কি জানে? পুতুলের শাড়িটি-ই বাংলার ধর্ষিতা সংস্কৃতি!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।