ধর্ষনের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করল এক কিশোরী
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম
গত শনিবার দিবাগত রাতে, ১৬ বছরের এক কিশোরী ধর্ষনের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানাধীন দেলুয়া গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা দরিদ্র পিতার সবলা কিশোরী জোসনা আক্তার ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে মাঠে গেলে, একই গ্রামের বাদল মিয়া গরুও ঘাস কাটার ছুতোঁয় কিশোরী জোসনার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে জোসনাকে নির্ঝনে পেয়ে বাদল মিয়া ‘কু-প্রস্তাব, দিলে জোসনা ঘৃন্ন্যা ভরে তাকে ফিরিয়ে দেয়। এতে বাদল মিয়া ক্ষীপ্ত হয়ে জোর পূবর্ক জোসনাকে ধর্ষন করে।
বাড়ী ফিরে জোসনা, উক্ত ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। ঘটনার পরের দিন শুক্রবার গ্রামের মাতব্বর পাখী মিয়া (সিরাজুল ইসলাম) ও একই গ্রামের ইউপি, মেম্বার পরান আলীকে ঘটনা জানিয়ে বিচার প্রার্থী হয় জোসনার পরিবার। শনিবার রাতে পাখী মিয়ার বাড়ীতে এক সালিশ বসে। উক্ত সালিশে বিবাদীর ভাই আঃ আজিজের পরোচনায় জোসনার পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিত রেখেই অপরাধী বাদল মিয়াকে পাচঁ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বিচারে অনুপস্থিত থাকার কারনে জোসনার পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করা হয়। ফলে, বিচার না পেয়ে রাগে, দুঃখে, অপমান ও লজ্জায় উক্ত রাতেই ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাদ্য হয় কিশোরী জোসনা আক্তার।
স্থানীদের অভিমত, ইউপি মেম্বার পরান আলী একজন দুস্কৃতিকারী ও ঘুষ খোর মাতব্বর। থানার একশ্রেনীর অসৎ অফিসাদের সাথে তার রয়েছে দহরম-মহরম সর্ম্পক। এই ব্যাপারে সাটুরিয়া থানায় যোগায়োগ করা হলে ঘটনার সততা স্বীকার করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জনাব মাহমুদু হাসান। তিনি বলেন, জোসনার ভাই ইতিমধ্যে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাতব্বর পাখী মিয়া ও মেম্বার পরান আলীকে আটক করা হয়েছে।
বর্তমানে বাদল মিয়ার বাড়ীর সকলেই লাপাত্তা। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।